টসে হেরে আগে ফিল্ডিং পাওয়ায় খুশিই হয়েছিলেন চিটাগং ভাইকিংস অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। বল করতে নেমে শুরুটাও দুর্দান্ত করেছিলেন চিটাগংয়ের পেসার রবি ফ্রাইলিংক। কিন্তু তাদের খুশিটা বেশিক্ষণ থাকতে দেননি সিলেট সিক্সার্স অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার, আফিফ হোসেন, নিকলাস পুরানরা।
Advertisement
টুর্নামেন্টের আগের তিন দিনই প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সব দল। সে ধারায় না হেটে টসে জিতে আগে ব্যাটিংই নিয়েছেন সিলেট অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। পরে ব্যাট হাতে ফিফটি হাঁকিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতাও প্রমাণ করে দিয়েছেন এ অসি তারকা।
ওয়ার্নারের পাশাপাশি নিকলাস পুরানের ফিফটি এবং আফিফ হোসেন ধ্রুবর চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করেছে সিলেট। আসরে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিতে চট্টগ্রামকে এর কমে বেঁধে রাখতে হবে সিলেটি বোলারদের।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো করতে পারেনি সিলেট। লিটন কুমার দাস ০, নাসির হোসেন ৩ এবং সাব্বির রহমান ০ রানে আউট হলে মাত্র ৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলের ইনিংসের ভীত গড়েন অধিনায়ক ওয়ার্নার এবং তরুণ আফিফ।
Advertisement
দুজন মিলে ৪৭ বলে গড়েছেন ৭১ রানের জুটি। যার সিংহভাগ রানই এসেছে আফিফের ব্যাট থেকে। কঠিন চাপের মুখে ব্যাট করতে নেমে সাহসী ব্যাটিং করেন আফিফ। ৫টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কার মারে মাত্র ২৮ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন তিনি।
যতক্ষণ আফিফ মারমুখী ভঙ্গিতে খেলছিলেন ততক্ষণ অনেকটাই খোলসবন্দী ছিলেন ওয়ার্নার। ১১তম ওভারে আফিফের বিদায়ের পর নিকলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন তিনি। তুলে নেন বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটি।
পুরানের সঙ্গে গড়েন ৪৭ বলে ৭০ রানের জুটি। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ২ চার এবং ১ ছক্কার মারে ৪৭ বলে ৫৯ রান করেন ওয়ার্নার। এরপর ইনিংসের বাকি পথের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন পুরান। মাত্র ৩২ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কার মারে খেলেন ৫২ রানের ইনিংস।
তার ব্যাটেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান পর্যন্ত যায় সিলেটের সংগ্রহ। চট্টগ্রামের পক্ষে আবারও বল হাতে বাজিমাত করেছেন রবি ফ্রাইলিংক। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নেয়ার পর, এ ম্যাচেও নিয়েছেন ৩টি উইকেট।
Advertisement
এসএএস/এমকেএইচ