বরিশাল নগরীর বেলতলা এলাকায় তিনটি পরিবারকে উচ্ছেদ করে ২৩ শতাংশ জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই তিন পরিবারের সদস্যদের বেদম মারধর করে ঘরে থাকা মালামাল ভাংচুর ও লুটপাটেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, নগরীর বেলতলা বাজারের পাশে বাৎসরিক ভিত্তিতে ইজারা নিয়ে ২৩ শতাংশ সরকারি জমিতে গত ৫০ বছর ধরে বাস করছেন মতিউর রহমান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম ও মাওলানা খলিলুর রহমানের পরিবার। ওয়ারিশ সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি দাবি করে আসছে মুনসুর আলী নামে এক ব্যক্তি। জমি দাবি করলেও তিনি ওই জমির পক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। কাগজপত্র না থাকায় মুনসুর জমি দখল নেয়ার জন্য আদালত কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও যাননি। আকস্মিকভাবে রোববার আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আনিছ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে ওই তিনটি পরিবারের উপর হামলা চালায়। আনিছের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা তিনটি পরিবারের সদস্যদের বেদম মারধর করে বসত ঘরে থাকা মালামাল ভাংচুর এবং লুট করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে ওই তিন পরিবারের সদস্যরা ঘর ছেড়ে বাইরে বের হতে বাধ্য হয়। তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি পরিবারগুলোর শিশু সন্তানরাও। এ দখল প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় অর্ধশত নারীও। এলাকাবাসী সবকিছু দেখলেও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা আনিছ সেখানে উপস্থিত থাকায় সকলে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করেন।এলাকাবাসীরা জানান, মুনসুর ওই জমি দখলে নিতে আওয়ামী লীগ নেতা আনিছের সঙ্গে মোটা অংকের টাকা চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী আনিছ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই জমি দখলের চেষ্টা করেন। দখলে বাধা দেয়ায় কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই হেলালুজ্জামানের উপর ক্ষুদ্ধ হন আওয়ামী লীগ নেতা আনিছ। এমনকি এসআই হেলালুজ্জামানের চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকিও দেন তিনি। তবে এ জমি দখলে সহযোগিতা, মারধর, ভাংচুর এবং লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আনিছ। মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতয়ালী থানার ওসি) মো. আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, অবৈধভাবে জমি দখলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিনটি পরিবারকে তাদের ঘরে উঠিয়ে দিয়েছি। উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।সাইফ আমীন/এসএস/পিআর
Advertisement