নাম ইউডি পিনেডা। কলম্বিয়ার ২৮ বছরের এই নারীকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি মুক্তি পাবে তার প্রথম পর্নো সিনেমা। অবশ্য পিনেডা বলছেন, ‘আর্টিস্টিক পর্নফিল্ম।’ কিন্তু এই পিনেডার অতীত কিন্তু একেবারেই অন্যরকম। আসুন দেখে নেয়া যাক তার অতীত জীবনের ইতিহাস।
Advertisement
দশ বছর বয়সেই পিনেডা কনভেন্ট স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন সন্ন্যাসিনী হবেন বলে। ইউডির বলেন, ‘কনভেন্টে আমার স্কুলেজীবন আনন্দের সঙ্গেই কাটাচ্ছিলাম।’ কিন্তু জীবন আনন্দে কাটলেও ১৮ বছর বয়সে স্কুলের এক ধর্মীয় প্রশিক্ষকের প্রেমে পড়েন। প্রেমে পড়ার পর গৎবাঁধা জীবন থেকে একটু মুক্ত হতে চাইছিলেন। তখনই কনভেন্টের গণ্ডি পেরিয়ে অন্য কিছু করবেন বলে মনস্থির করেন ইউডি পিনেডা।
শেষ পর্যন্ত কলম্বিয়ার মেডেল্লিন শহরে চলে আসেন। বহুজাতিক কোম্পানি নেসলেতে চাকরি জোগাড় করে ফেলেন। কিন্তু তার মন এক কথা বলছিল আর তিনি দিনের পর দিন মনের বিরুদ্ধে অন্য কাজ করছিলেন।
আরও পড়ুন>> স্ত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে চ্যাটিং, থানায় যুবককে বেধড়ক মারপিট ডিসির
Advertisement
এক দিকে চাকরি জীবন আর এক দিকে প্রেম নিয়ে বিপদে পড়েন। এই দুই নৌকায় পা দিয়ে টালমাটাল জীবন নিয়ে হতাশ হয়ে যাচ্ছিলেন ইউডি। হঠাৎই খোঁজ পান জুয়ান বুস্টোস নামের এক ব্যক্তি নিজের অ্যাডাল্ট ওয়েব পোর্টালের জন্য মডেলের খোঁজ করছেন। খবর পাওয়া মাত্রই, জুয়ান বুস্টোসের দলে নাম লেখান ইউডি।
ইউডির কথা অনুযায়ী, ‘আমি বেশ কিছু অডিশন দিয়েছিলাম। তার পর জুয়ান বুস্টোসের নজরে আসি। অডিশন শেষ হওয়া মাত্র উনি আমাকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করে। এরপর তার ওখানেই শুরু হয় আমার নতুন জীবন।’
নিচ্ছিলেন সন্ন্যাসিনী হওয়ার প্রশিক্ষণ সেখান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে পর্নস্টার কেন হলেন প্রশ্ন করা হলে ইউডি বলেন, ‘প্রথম প্রথম একটু খারাপ লাগছিল। কিন্তু এখন বেশ ভালই লাগছে। যখন চার্চে যাই তখনও আমার খুব ভাল লাগে। শুক্রবারের প্রার্থনা, শনিবারের জমায়েত এ সবের কিছুই এখন আমি আর মিস করি না।’
আরও পড়ুন>> সাবেক প্রেমিকার নামে মেয়ের নাম রাখায় ডিভোর্স
Advertisement
তবে ইউডির এমন কাজের সিদ্ধান্তের কথা শুনে রেগে গিয়েছিলেন স্কুলের শিক্ষিকারাও। ইউডির কথা অনুযায়ী, আমাকে অনেক বাধার দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কারো কোনও বারণ আমি শোনেননি তিনি।
নবাগতা এই পর্নস্টার তার নতুন এই জীবনকে বলছেন, ‘শালীন ও শৈল্পিক। আর তাছাড়া পর্নো ছবিতে কাজ কিংবা অভিনয় করার মধ্যে আমি খারাপ কিছু দেখছি না। আমি এখানে আমার কাজ চালিয়ে যাব।’ ইউডির প্রথম ছবির গল্প নেয়া হয়েছে তার স্কুল জীবন থেকে।
এসএ/পিআর