দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর সুবিচার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘এ মেয়াদে অগ্রাধিকার হবে জনগণের জন্য সুবিচার ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা আছে—সেগুলো নির্ধারণ করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’
Advertisement
সচিবালয়ে মঙ্গলবার নিজ দফতরে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
দ্বিতীয় মেয়াদেও আইনমন্ত্রী করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘মানুষের সুবিচার কী হওয়া উচিত তা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সংবিধানেই উল্লেখ আছে। সেই বিষয়গুলো নিশ্চিত করেই মানুষের সুবিচারের ব্যবস্থা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গত সরকারের সময় অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। সেগুলো আরও জোরদার ও সুদৃঢ় করা হবে।’
Advertisement
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটি কথা বলতে চাই, গতবার আমার মন্ত্রণালয়ের দুটো বিভাগই আমাকে সহযোগিতা করেছে। ফলে অনেক কাজই করা সম্ভব হয়েছে। গতবারের অভিজ্ঞতার আলোকে অসম্পাদিত কাজগুলো এগিয়ে নিতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনা অসম্ভব নয়; তবে কঠিন। এটা নিয়ে আমরা কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনা কঠিন হওয়ার কারণ আছে। আর সেটা হলো- ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে খুনের পর খুনিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছিল। দেশেও অনেককে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। আপনারা জানেন, ২০০১ সালে খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। এমনকি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্যসচিব বিমানবন্দরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী মেজর ডালিমের স্ত্রীর লাশ রিসিভ করেন।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনের নেপথ্যে যারা দায়ী তাদের শনাক্তে আমরা কমিশন গঠনের চেষ্টা করব।’
এফএইচ/এনডিএস/এমএস
Advertisement