সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তার কুলখানি ছিল আজ বাদ আসর। এতে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও ঢল নামে সাধারণ মানুষের।
Advertisement
রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে ফাঁকা জায়গায় বিশাল সামিয়ানা টানিয়ে মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়। লোকজনের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সামিয়ানার বাইরেও চেয়ার দেয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় মিলাদ মাহফিল শুরু হয়ে ৫টায় শেষ হয়।
কুলখানিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, ১৪ দল নেতা দীলিপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, দফতর সম্পাদক ড, অবদুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং অন্যান্য রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিচারপতি, আইনজীবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, ডাক্তার, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিকসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষও উপস্থিত ছিলেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন।
Advertisement
গত ৬ জানুয়ারি রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে। ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কয়েক মাস ধরে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। ৫ জানুয়ারি তার মরদেহ দেশে আনা হয়।
এফএইচএস/জেডএ/এমএস