সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে বিদেশি মালিকানাধীন রফতানিমুখী ইপিক গার্মেন্টে রোববারও ৪১ জন শ্রমিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদেরকে রাজধানী ঢাকার মহাখালীস্থ আইসিডিডিআরবিতে (কলেরা হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে গত চার দিনে গার্মেন্টটির প্রায় দেড়’শ শ্রমিক ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হল। ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে আদমজী ইপিজেডে হংকং ও চায়নার যৌথ মালিকানাধীন ইপিক-১ গার্মেন্টে কারখানায় শ্রমিকরা খাওয়া শেষ করার পর মাথা ব্যথা ও বমির সঙ্গে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এভাবে একসঙ্গে ২৪ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে কারখানার নিজস্ব ডাক্তাররা বিষয়দি তদারকি করলেও অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদেরকে নারায়ণগঞ্জের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ডায়ারিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে জেসমিন, আকলিমা ও নূর জাহানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার মহাখালীস্থ আইসিডিডিআরবি (কলেরা) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার আরো ৪ জনকে শহরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ডায়ারিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শনিবার ৬৯ জন ১০০ শয্যায় ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তাদের সকলকেই ঢাকার আইসিডিডিআরবিতে (কলেরা হাসপাতাল) পাঠানো হয়। এরপর রোববার আরো ৪১ জন শ্রমিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক নাসির জানান, রোববার আরো ৪১জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে সরাসরি ঢাকার আইসিডিডিআরবিতে (কলেরা হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে। এদিকে আইসিডিডিআরবির সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম বিকেল ৫ টায় জাগো নিউজকে জানান, সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলা সম্ভব না হলেও শনিবার সকাল থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত আনুমানিক ১২০ থেকে ১২৫জন গার্মেন্টস শ্রমিক ভর্তি হন। তাদের মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক শ্রমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। যারা ভর্তি আছেন তারাও সুস্থ হয়ে উঠছেন। তিনি জানান, কী কারণে তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলেন তার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। শ্রমিকরা জানিয়েছেন- তারা খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে সকলেই বলেছেন, তারা গার্মেন্টসের একই লাইন থেকে পানি পানি করেন। তারা সকলেই পেটে ব্যথা,বমি ও পাতলা পায়খানা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। এমইউ/হোসেন চিশতী সিপলু/এসএইচএস/এমআরআই
Advertisement