সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও পরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সচিবালয়ে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
ওবায়দুল কাদের বলেন 'দুর্নীতি এবং মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান চলবে। যে অভিযান শুরু হয়েছে এটা আরও জোরদার হবে। মাদক সুনামির মতো সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মাদকের বিষয়ে এখনই যদি আমরা জিরো টলারেন্সে না যেতে পারি তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এটা আমাদের তরুণদের জন্য অশনিসংকেত হয়ে দেখা দেবে।
তিনি বলেন, তাই মাদক নির্মূলের বিষয়ে আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে। পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জোর দেয়া হবে। এসব কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন মুখ নিয়ে তার নতুন মন্ত্রিসভা সাজিয়েছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় চ্যালেঞ্জ আছে। এটা ম্যাজিকালি পরির্তন হবে না, এটা আশা করে লাভ নেই। আমরা যারা দেশ চালাই সেখানে সমস্যা আছে। তাছাড়া দুর্নীতির বিষয়টি সারা বিশ্বব্যাপী । এটি সারা পৃথিবীর সমস্যা, বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। ২১ বছর দেশে যে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন হয়েছে, রাতারাতি এর উৎপাটন সম্ভব না।
Advertisement
সুশাসনের জন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে সেগুলো কতটুকু গড়ে তোলা হবে? -এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের সাংবিধানিক যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। আমরা বিচার বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসব।’
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সুবর্ণচরে ধর্ষণের ঘটনায় দল থেকে একজনকে বহিষ্কার এবং ৭ জনের মতো দলীয় লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের অভিযোগে সরকারি দলের এক এমপি এখন জেলে আছেন। আমরা কিন্তু বিচারহীনতার সংস্কৃতির মধ্যে নেই। অপরাধ যেই করুক তার শাস্তি হতেই হবে।'
তিনি আরও বলেন 'এবার প্রধানমন্ত্রী নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছেন যে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের ব্যাপারে সরকার শতভাগ আন্তরিক এবং সিরিয়াস।'
এমইউএইচ/এমএমজেড/জেআইএম
Advertisement