জাতীয়

৭ জানুয়ারি ‘ফেলানী হত্যা দিবস’ পালনের আহ্বান

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নাগেশ্বরী থানার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত ফেলানী হত্যার দিনকে সারাবিশ্বে ‘ফেলানী হত্যা দিবস’ পালন করার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।

Advertisement

বক্তারা বলেন, ‘২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের এখনো বিচার হয়নি। বিচার আর ক্ষতিপূরণের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ফেলানীর পরিবার।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘মানবাধিকার ও সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত রিপোর্ট মতে, ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিএসএফ সীমান্তে দেড় হাজারের অধিক বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে সাধারণ নাগরিকদের হত্যা নির্যাতন করে এবং ধরে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।’

৭ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী সীমান্ত হত্যাবিরোধী ফেলানী দিবস পালন এবং বাংলাদেশ সরকারকে সীমান্ত হত্যাবিরোধী ৭ জানুয়ারি ফেলানী দিবস পালনে জাতিসংঘে প্রস্তাব আনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

Advertisement

নাগরিক পরিষদের উত্থাপিত দাবিগুলো হচ্ছে-

১. ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ফেলানী দিবস পালন করুন, ২. ফেলানীর পরিবারকে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান, ৩. ফেলানী হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের ফাঁসি, ৪. সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে, ৫. সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব হিফজুর রহমান, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. হারুন-অর-রশিদ খান, মানবাধিকার নেতা মঞ্জুর হোসেন ঈসা, প্রতিবাদী তারুণ্যের সভাপতি মাসুদ উজ জামান।

জেইউ/এমআরএম/আরআইপি

Advertisement