খেলাধুলা

‘ঠান্ডা মাথার আফ্রিদি’কে দেখে অবাক কুমিল্লা কোচ

শহীদ আফ্রিদি, বিশ্ব ক্রিকেটের জনপ্রিয় এক নাম। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের জন্য তার নামের পাশে জুড়ে গিয়েছে ‘বুমবুম’ তকমা। তবে মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য তিনি যতটা জনপ্রিয়, ততটাই সমালোচিত পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে না পারার জন্য। দলের প্রয়োজনের সময় অনেকবারই দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হতে দেখা যায় পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডারকে।

Advertisement

তবে এবারের বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের প্রথম ম্যাচেই অন্য চেহারায় দেখা গেল আফ্রিদিকে। দলের প্রয়োজন বুঝে খেললেন, জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন। যা দেখে অবাক কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও।

লক্ষ্য ছিল মাত্র ১২৭ রানের। কিন্তু স্লো উইকেটে এই রান তাড়া করতে নেমেও বেশ বিপদে পড়ে গিয়েছিল কুমিল্লা। তামিম ইকবাল পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে খেলে চলছিলেন। আফ্রিদির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে তিনি ৩৪ বলে ৩৫ করে রানআউটের কবলে পড়লে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল কুমিল্লা শিবির।

জয়ের জন্য তখনও দরকার ২১ বলে ৩১ রান, হাতে মাত্র ৪ উইকেট। তার চেয়ে বড় কথা স্বীকৃত আর অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ছিলেন কেবল আফ্রিদি। কিন্তু ওই যে! আফ্রিদি অভিজ্ঞ হলেও তার তো একটা বদনাম আছে, পরিস্থিতি না বুঝে উল্টাপাল্টা শট খেলে বসেন।

Advertisement

এবার আর তেমন দেখা গেল না। মাথা ঠান্ডা রেখে ২৫ বলে ৩৯ রানের এক ইনিংস খেললেন আফ্রিদি। দলকে নিয়ে গেলেন জয়ের বন্দরে। কুমিল্লার কোচ সালাউদ্দিন তো অকপটেই স্বীকার করলেন, আফ্রিদি এতটা বিচক্ষণতার পরিচয় দেবেন ভাবেননি তিনি, ‘টুর্নামেন্টের শুরুর ম্যাচে প্রতিটি দলই একটু চাপে থাকে। আমরাও একটু নার্ভাস ছিলাম। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে আফ্রিদি যে এতটা বিচক্ষণতার সাথে খেলবে, কখনোই ভাবিনি।’

আফ্রিদি নাকি নিজেই কোচকে জানিয়েছেন, এখন তিনি অনেক বদলে গেছেন, ঠান্ডা মাথার ব্যাটিং করেন। সালাউদ্দিন সেটা জানিয়ে বলেন, ‘সে অনেক অভিজ্ঞ। সে নিজেও বলছিল, এখন সে অনেক ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করে। আশা করব আফ্রিদি পুরো টুর্নামেন্টেই এমন বিচক্ষণতার সঙ্গে খেলবে।’

এমএমআর/এমকেএইচ

Advertisement