পাকিস্তানের কোচ তিনি। কিন্তু মিকি আর্থারের জাতীয়তা দক্ষিণ আফ্রিকার। তার পরিচিতিটাও সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার হিসেবে। সেই আর্থারই এবার প্রশ্ন তুললেন নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার পিচের মান নিয়ে। পাকিস্তানি কোচের অভিযোগ, প্রোটিয়াদের পিচ টেস্ট ক্রিকেটের জন্য অনুপযুক্ত।
Advertisement
চলতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এক টেস্ট বাকি থাকতেই সিরিজ খুইয়ে বসেছে পাকিস্তান এবং সেটা ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে। সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে একবারও দুইশর ঘর ছুঁতে পারেনি আর্থারের দল। কেপটাউনে দ্বিতীয় টেস্টেও প্রথম ইনিংসে ১৭৭ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারিদের ইনিংস। দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য একটু প্রতিরোধ গড়েছিল তারা। কিন্তু ২৯৪ রান করেও বড় পরাজয় এড়ানো সম্ভব হয়নি।
সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজের প্রথম টেস্টে অবশ্য দুই দলের কোনোটিই ২৩০ রানের বেশি এগোতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল ২২৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে তারা হারায় ৪ উইকেট।
কেপটাউনে কিছুটা রান হলেও পিচের চরিত্র নিয়ে মোটেই খুশি নন আর্থার। পাকিস্তানি কোচ অসন্তুষ্ট কন্ঠে বলেন, ‘ক্রিকেটীয় কাজে আমি ২০১০ সালের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় যাইনি। তবে উইকেটের যে মান-সেঞ্চুরিয়ানে এবং এখানে আমরা যে উইকেট পেয়েছি; আমি মনে করি না, এটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য যথেষ্ট ভালো।’
Advertisement
আর্থার আরও যোগ করেন, ‘এটা অধারাবাহিক। আমার মনে হয় আজ (কেপটাউন টেস্টে) কমপক্ষে সাতবার বিরতি নিতে হয়েছে। কারণ বল ভাঙা জায়গায় পড়েছিল এবং ফিজিওকে মাঠে ছুটে আসতে হয়েছে। আর আমরা কিন্তু দ্বিতীয় দিনের কথা বলছি। আমি বুঝি, এমনটা চতুর্থ এবং পঞ্চম দিতে হতে পারে। কারণ টেস্টে এমনটা হয়। উইকেট ভেঙে গেলে এমন হবেই। কিন্তু আপনি প্রথম ইনিংসকেই জুয়ার মধ্যে ফেলতে পারেন না। আমি মনে করি, এখানে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করাও খুব কঠিন ছিল।’
যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের ঘরের মাঠের সুবিধা নেবে, এটাকে স্বাভাবিকই মনে করছেন আর্থার। তার আপত্তি শুধু উইকেটের চরিত্র নিয়ে। পাকিস্তানি কোচের ভাষায়, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় আপনি যখন উপমহাদেশের দল হিসেবে খেলতে যাবেন, বাউন্স আর পেসের মুখে পড়বেনই। আমার মনে হয়, দুটি উইকেটই বোলারদের জন্য ছিল। অবশ্যই এটা ঘরের মাঠের সুবিধা। আমরাও আরব আমিরাতের পিচে টার্ন পাই। তবে আমি বলছি, উইকেটের অধারাবাহিকতার কথা।’
এমএমআর/এমকেএইচ
Advertisement