আন্তর্জাতিক

সামরিক শক্তিধর ৫০ দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ

সামরিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ এখন যুক্তরাষ্ট্র। তার পরই অবস্থান রাশিয়ার। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। সামরিক শক্তির ভিত্তিতে প্রতি বছর র‍্যাঙ্কিং করা প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার’ এ তথ্য জানিয়েছে।

Advertisement

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার বিশ্বের সামরিক শক্তিধর ৫০টি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীন, চতুর্থ ভারত, পঞ্চম ফ্রান্স, ষষ্ঠ যুক্তরাজ্য, সপ্তম দক্ষিণ কোরিয়া, অষ্টম জাপান, নবম তুরস্ক, দশম জার্মানি, ১১তম ইতালি, ১২তম মিসর, ১৩তম ইরান, ১৪ ব্রাজিল, ১৫তম ইন্দোনেশিয়া ১৬তম ইসরায়েল এবং ১৭তম পাকিস্তান। তবে ৫০টি দেশের এই তালিকায় স্থান পায়নি বাংলাদেশ

১৩৬টি উন্নত ও কম উন্নত দেশের মধ্যে চালানো এ জরিপে দেশগুলোর ভৌগলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক সম্পদ নির্ভরতা, মানবসম্পদ ও চলমান অর্থনৈতিক চিত্রসহ বিবেচনা করা হয়। তবে পরমাণবিক ক্ষমতা এবং বর্তমান রাজনৈতিক বা সামরিক নেতৃত্বকে এ হিসাবে ধরা হয়নি।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১২ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ জন। রিজার্ভ আছে ৮ লাখ ১ হাজার ২০০ সৈন্য। যুদ্ধবিমান ১৩ হাজার ৩৬২টি, ট্যাংক ৫ হাজার ৮৮৪টি, যুদ্ধ জাহাজ ৪১৫টি।

Advertisement

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়ার সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১০ লাখ ১৩ হাজার ৬২৮ জন। রিজার্ভ আছে ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ সৈন্য। যুদ্ধবিমান ৩ হাজার ৯১৪টি, ট্যাংক ২০ হাজার ৩০০টি, যুদ্ধজাহাজ ৩৫২টি।

চীনের সক্রিয় সৈন্য ২১ লাখ ৮৩ হাজার জন। রিজার্ভ আছে ৫ লাখ ১০ হাজার। যুদ্ধবিমান ৩ হাজার ৩৫টি, ট্যাংক ৭ হাজার ৭১৬টি ও যুদ্ধজাহাজ ৭১৪টি।

ভারতের সক্রিয় সৈন্য ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ জন। রিজার্ভ আছে ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫০ জন। যুদ্ধবিমান ২ হাজার ১৮৫টি, ট্যাংক ৪ হাজার ৪২৬টি ও যুদ্ধজাহাজ ২৯৫টি।

ফ্রান্সের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ২ লাখ ৫ হাজার। রিজার্ভ আছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৩৫ জন। যুদ্ধবিমান ১ হাজার ২৬২টি, ট্যাংক ৪০৬টি ও যুদ্ধজাহাজ ১১৮টি।

Advertisement

যুক্তরাজ্যের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩০ জন। রিজার্ভ আছে ৮১ হাজার ৫০০ জন। যুদ্ধবিমান ৮৩২টি, ট্যাংক ২২৭টি ও যুদ্ধজাহাজ ৭৬টি।

দক্ষিণ কোরিয়ার সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ৬ লাখ ২৫ হাজার জন। রিজার্ভ আছে ৫২ লাখ ২ হাজার ২৫০ জন। যুদ্ধবিমান ১ হাজার ৫৬০টি, ট্যাংক ২ হাজার ৬৫৪টি ও যুদ্ধজাহাজ ১৬৬টি।

জাপানের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৭ জন। রিজার্ভ আছে ৬৩ হাজার ৩০০ জন। যুদ্ধবিমান ১ হাজার ৫০৪টি, ট্যাংক ৬৭৯টি ও যুদ্ধজাহাজ ১৩১টি।

তুরস্কের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ৩ লাখ ৫০ হাজার জন। রিজার্ভ আছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৫৬৫ জন। যুদ্ধবিমান ১ হাজার ৫৬টি, ট্যাংক ২ হাজার ৪৪৬টি ও যুদ্ধজাহাজ ১৯৪টি।

জার্মানির সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪১ জন। রিজার্ভ আছে ৩০ হাজার। যুদ্ধবিমান ৭১৪টি, ট্যাংক ৪৩২টি ও যুদ্ধজাহাজ ৮১টি।

ইতালিতে সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ জন। রিজার্ভ আছে ২০ হাজার। যুদ্ধবিমান ৮২৮টি, ট্যাংক ২০০টি ও যুদ্ধজাহাজ ১৪৩টি।

মিসরের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ৪ লাখ ৫৪ হাজার ২৫০ জন। রিজার্ভ আছে ৮ লাখ ৭৫ হাজার। যুদ্ধবিমান ১ হাজার ১৩২টি, ট্যাংক ৪ হাজার ৯৪৬টি ও যুদ্ধজাহাজ ৩১৯টি।

ইরানের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ৫ লাখ ৩ হাজার। রিজার্ভ আছে ৪ লাখ। যুদ্ধবিমান ৫০৫টি, ট্যাংক ১ হাজার ৬৫০টি ও যুদ্ধজাহাজ ৩৯৮টি।

ব্রাজিলের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ জন। রিজার্ভ আছে ১৬ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ জন। যুদ্ধবিমান ৭২৩টি, ট্যাংক ৪৬৯টি ও যুদ্ধজাহাজ ১১০টি।

ইন্দোনেশিয়ার সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৭৫০ জন। রিজার্ভ আছে ৫ লাখ ৪০ হাজার। যুদ্ধবিমান ৪৭৮টি, ট্যাংক ৪১৮টি ও যুদ্ধজাহাজ ২২১টি।

ইসরায়েলের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার। রিজার্ভ আছে ৪ লাখ ৪৫ হাজার। যুদ্ধবিমান ৫৯৬টি, ট্যাংক ২ হাজার ৭৬০টি ও যুদ্ধজাহাজ ৬৫টি।

পাকিস্তানের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ৬ লাখ ৩৭ হাজার। রিজার্ভ আছে ২ লাখ ৮২ হাজার। যুদ্ধবিমান ১ হাজার ২৮১টি, ট্যাংক ২ হাজার ১৮২টি ও যুদ্ধজাহাজ ১৯৭টি।

এ ছাড়া ১৮তম, ১৯তম ও ২০তম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে উত্তর কোরিয়া, স্পেন ও ভিয়েতনাম। এর মধ্যে উত্তর কোরিয়ার সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ৯ লাখ ৪৫ হাজার। রিজার্ভ আছে ৫৫ লাখ। যুদ্ধবিমান ৯৪৪টি, ট্যাংক ৫ হাজার ২৪৩টি ও যুদ্ধজাহাজ ৯৬৭টি।

এ ছাড়া মিয়ানমার ৩৫, উজবেকিস্তান ৩৯, নাইজেরিয়া ৪৩, মালয়েশিয়া ৪৪, ইরাক ৪৭, সিরিয়া ৪৯ ও কাজাখস্তান ৫০ নম্বরে রয়েছে।

এসআর/পিআর