বিনোদন

কণ্ঠশীলনের ‘চাঁদ বণিকের পালা’ মঞ্চায়িত

আবৃত্তি ও বাংলা নাটকের কিংবদন্তি শম্ভু মিত্রের শততম জন্মদিন উদযাপন করেছে কণ্ঠশীলন। ২২ আগস্ট (শনিবার) বাংলা নাটক ও আবৃত্তিশিল্পীদের পক্ষ থেকে এই প্রবাদপুরুষের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন উপলক্ষে সাহিত্যের বাচিক চর্চা ও প্রসার প্রতিষ্ঠান কণ্ঠশীলন মঞ্চস্থ করে শম্ভু মিত্র রচিত ও গোলাম সারোয়ার নির্দেশিত বিখ্যাত নাটক ‘চাঁদ বণিকের পালা’র পাঠাভিনয় (প্রথম পর্বের শ্রুতিরূপ)।শনিবার সন্ধ্যা ৭টায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় (মূল হল) ‘চাঁদ বণিকের পালা’ মঞ্চস্থ হয়। অনুষ্ঠানের আরম্ভকথা তথা শম্ভু মিত্রের বলিষ্ঠ জীবন ও তাঁর শৈল্পিক পদচারণার আলাপচারিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্তারী মমতাজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন বিশিষ্ট নাট্যনির্দেশক, মঞ্চসারথি আতাউর রহমান ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, শব্দসৈনিক আশরাফুল আলম। শম্ভু মিত্রকে নিয়ে আলোচনায় বক্তারা বলেন- শম্ভু মিত্র বাংলা থিয়েটারের প্রবাদ পুরুষ, কেবলমাত্র অভিনেতা ও নাট্য নির্দেশক হিসেবে নয়, নাট্যাঙ্গনে নব-নাট্য নাট্যচর্চার পথিকৃত হিসেবে তিনি চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। শম্ভু মিত্র অনন্য হয়ে আছেন বাংলার মঞ্চে নবযুগের শ্রষ্ঠা হিসেবে।নির্দেশক গোলাম সারোয়ার বলেন, প্রাচীন ও মধ্যযুগের কাব্য পুরাণে ভক্তি প্লাবিত দেবাশ্রিত চরিত্রের অভাব নেই আদৌ। এ ক্ষেত্রে চম্পক নগরীর চাঁদ সদাগর বা চাঁদ বণিক এক বিস্ময়কর ব্যতিক্রম, মানুষের জীবন সংগ্রামে বিশ্বাসী, দেবদ্রোহী, যুক্তিবাদী এই চরিত্রটিকে অবলম্বন করে এ যুগের নট এবং নাট্যকার শম্ভু মিত্র তাঁর এই পালাতে সরবরাহ করেছেন নতুন যুগের সংকট, সংগ্রাম এবং মানবিক দ্বন্দ্বের মানসিক ঘূর্ণাবর্ত। যাতে কাল এবং কালান্তরের বাঙালি যুক্তিবাদী জীবন সংগ্রামে অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত হয়। দুর্গতির কালের পচন প্রক্রিয়া ও তার বিরুদ্ধে বীরোচিত প্রতিরোধের নায়ক। এই শম্ভু মিত্রর পালার বিষয়। প্রতিরোধের ব্যর্থতা নির্ধারিত, তবু নায়কের জীবন সেই প্রতিরোধেই। বাংলার যেখান থেকে ভাঙনের শুরু, সেই তামসের সূচনাকালের বীর নায়ক। কণ্ঠশীলনের উপলব্ধি যে, চাঁদের মতো সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম যুগে যুগে ভালো মানুষদের করে যেতে হবে। কারণ বেণীনন্দদের দল অর্থাৎ নষ্ট মানুষও যুগে যুগে থাকবে। কণ্ঠশীলন চাঁদের ভাবনায় যুথবদ্ধ হতে চায়।চাঁদ বণিকের পালা’র মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন সালাম খোকন। সংগীতায়জনে কে.বি.আল আজাদ এবং পোষাক পরিকল্পনায় ছিলেন নায়লা চৌধুরী তারান্নুম চৌধুরী কাকলি। চরিত্রায়ণে ছিলেন মীর বরকত, গোলাম সারোয়ার, রইস উল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, অনিন্দ্য ইমরান, ইলা রহমান, শফিক সিদ্দিকী, লিটন বারুরী, নুরুজ্জামান নান্নু, মু. কামরুল হাসান, বাদল সাহা শোভন, গোলাম রাব্বানী প্লাবন, অমিতাভ রায়, অনুপমা আলম, আফরিন খান, ফারহানা আক্তার ঈশা, মো. আব্দুল কাইয়ুম ও মো. হাসান মিয়া।এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement