দেশজুড়ে

স্বাধীনতার পর প্রথম মন্ত্রী মেহেরপুরে

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্বাধীনতার সূতিকাগার মেহেরপুর। স্বাধীনতার পর থেকে এই জেলায় কোনো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ হয়নি। মেহেরপুর ১ আসনের দু’বারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ ফরহাদ হোসেন। আগামী সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে মেহেরপুরবাসীর এই দুঃখ দূর করতে যাচ্ছেন।

Advertisement

মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন পারিবারিকভাবেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার বাবা সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ছহি উদ্দীনের মৃত্যুর পর তিনি ঢাকা সিটি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলামের মেয়ে সৈয়দা মোনালিসার সঙ্গে।

তিনি এখন কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সদস্য। ২০১৪ সালে নির্বাচনে ফরহাদ হোসেন এমপি নির্বাচিত হন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তার নানা ডা. মো. জাফর আলী ছিলেন ১৯৫১ সালে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পিতা মরহুম ছহি উদ্দীন বিশ্বাস ১৯৬২ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হন।

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবেও কাজ করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে কুষ্টিয়া-৫ আসনে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত ও ১৯৮৬ সালে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে তিনি মারা যান।

Advertisement

আরও পড়ুন : ইতিহাসের সাক্ষী মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগর হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূতিকাগার। মুজিবনগরের সৃষ্টি না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না। ১৯৭১ পরবর্তী মেহেরপুরের কোনো নেতা মন্ত্রী তো দূরের কথা উপমন্ত্রীও হয়নি। সেই কারণে স্বাধীনতার সৃষ্টিকারী মুজিবনগরবাসী খুব অধিকার নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারে দাবি করে এবার অন্তত স্বাধীনতার স্বপক্ষের এই সরকার একজন মন্ত্রী মেহেরপুরবাসীকে উপহার দেবে। একই দাবি করেন মেহেরপুরের সচেতন ব্যক্তিরা।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার বা মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন। কিন্তু বার বারই মন্ত্রীত্ব থেকে বঞ্চিত হয় এ জেলা।

বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী মুজিবনগরের মানুষ প্রথম মন্ত্রীর সংবাদ শুনে তাদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করেছে। একে অপরকে মিষ্টিমুখ ও মিষ্ঠি বিতরণ করে দলের নেতা-কর্মীরা। এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ ঘোচানোয় সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

Advertisement

আসিফ ইকবাল/এমআরএম/জেআইএম