জার্মান আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মানুষ ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাকে কখনও ভুলবে না। সারাজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন ত্যাগী এ নেতা।
Advertisement
জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফ বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সাধারণ মানুষ, নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার মধ্য দিয়ে রোববার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম বসিরুল আলম চৌধুরী সাবু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ বাদল আহমেদ। শোক বার্তায় জার্মান আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে দেশবাসীর মতো জার্মান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও আজ শোকে মুহ্যমান। তিনি ছিলেন সৎ দক্ষ সংগঠক ও গণমানুষের নেতা। ১/১১-এর দুঃসময়ে তার বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা জাতি গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।
Advertisement
আরও শোক প্রকাশ করেন, জার্মান আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোমেন ভূঁইয়া, উপদেষ্টা লাইজু খন্দকার, উপদেষ্টা আশুতোষ বনিক, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ সর্দার, উপদেষ্টা জাহাদ ঠাকুর।
এ ছাড়া সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-সভাপতি ইউনুস আলী খান, সহ-সভাপতি নূরে হাসনাত শিপন, সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান, সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সবুজ, সহ-সভাপতি আজহার হোসেন, সহ-সভাপতি মাবু চৌধুরী, সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সবুজ, সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মানিক কাইয়ুম, সহ-সভাপতি মো. সাইফুর রহমান, সহ-সভাপতি মিজানুর খান, সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, সহ- সভাপতি হারুনুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাকিম টিটু শোক প্রকাশ করেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুল ইসলাম তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ভুঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক স্নিগ্ধা বুলবুল প্রমুখ শোক প্রকাশ করেন।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর স্ত্রী মারা যাওয়ার পর প্রায়ই অসুস্থ হন সৈয়দ আশরাফ। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
Advertisement
অসুস্থতার কারণে তিনি গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তার ফুসফুসের ক্যান্সার চতুর্থ ধাপে পৌঁছে। এই অসুস্থতা নিয়েই বৃহস্পতিবার রাতে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
তিনি দেশে না থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এমআরএম/পিআর