প্রবাস

প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার দাবি এনায়েত উল্লাহকে

ইউরোপে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কাজী এনায়েত উল্লাহকে দেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। প্রবাস থেকে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের একজন মন্ত্রী চেয়ে সরকারের কাছে এ দাবি জানানো হয়।

Advertisement

প্রবাসীদের যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে ইউরোপের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব ও আয়েবার মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ ইনুকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে দেখতে চান প্রবাসীরা। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবাসীরা তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।

ক্রমান্বয়ে এ দাবি ভাইরাল হওয়ায় প্রবাসীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে বেশির ভাগ প্রবাসী এটাকে ইতিবাচক ও যৌক্তিক দাবি বলে মনে করছেন। এই পুরো ব্যাপারটাই সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। যদিও প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় রয়েছে।

তবে সেটি প্রবাসীদের সহযোগিতার জন্য যথেষ্ট নয় বলে দাবি করেন প্রবাসীরা। তারা মনে করেন আলাদা মন্ত্রণালয় থাকলে আমাদের দুঃখ কষ্ট ভালোভাবে বুঝতে পারবে। আর সমস্যাগুলো সঠিকভাবে বোঝার জন্য একজন প্রবাসীকে এ দায়িত্ব দিতে হবে।

Advertisement

ফ্রান্স থেকে মাসুম হোসেন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটা এত সহজ নয়। যে ব্যক্তি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত নেই। তিনি কিভাবে মন্ত্রী হবেন। জেএর সুমন বলেন, তিনি কোন দলের লোক? আরেক প্রবাসী মুসলিম রোমেল ইতিবাচক হিসেবে এই প্রস্তাবে তিনি বলেন, আমিও চাই তিনি মন্ত্রী হোক।

মালয়েশিয়ার একে আশিক সম্মতি জানিয়েছেন মন্ত্রী হিসেবে কাজী এনায়েত উল্লাহকে। দক্ষিণ আফ্রিকার আলম আমিন সেখানকার প্রবাসীদের পক্ষ থেকে সহমত জানান। প্রবাসীদের দৃষ্টি ইউরোপের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী এনায়েত উল্লাহ দিকে।

তিনি এ বিষয়ে বলেন, যদি প্রবাসীরা চায় এবং সরকার যথাযথ মনে করে তবে পাঁচ বছরে দেশ বদলে যাবে উন্নয়নের অবকাঠামোতে। তিনি প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করতে চান। প্রথমে প্রবাসীদের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য আস্থা অর্জন করবেন। যেন প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে বিনিয়োগ করে।

এরপর বিশ্বাস অর্জিত হলে ধাপে ধাপে বিনিয়োগ বাড়তে থাকলে তরুণ প্রজন্মের জন্য অনেক কর্মস্থান তৈরির সুযোগ হবে দেশে। ফলে দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক শক্তি বাড়তে থাকবে। সরকারের যে উন্নয়নের ধারা সেটা প্রবাসীদের সহযোগিতায় অব্যাহত রাখা সম্ভব। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে তিক্ত অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। ২শ প্রবাসী আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘ইউরোপ-এশিয়াতে প্রবাসীদের অধিকার, দাবি নিয়ে কাজ করছি। তাই প্রবাসীদের সমস্যাগুলো বুঝতে তেমন একটা কষ্ট হয় না। তিনি সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিমান ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছি। দেশের বিমানে যে পরিমাণ লোকসান হয়। তা সত্যিই দুঃখজনক। যদি সরকার বিমানের দায়িত্ব দেয় তবে দুই বছরে লোকসান থেকে কিভাবে লাভ আনতে হয় সেই টেকনিক আমার জানা আছে। এ রকম প্রতিশ্রুতি দিতে পারি বিমান বাংলাদেশ হবে

এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এজন্য দরকার নিজেকে নিষ্ঠাবান হিসেবে তৈরি করা। এ ছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রবাসীদেরসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। যদি সরকার চায় তবে একটি মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের জন্য দিলে প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগমুখী করতে যা করণীয় দরকার তিনি তাই করবেন।

এমআরএম/আরআইপি