সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে জীবনের ব্যাখ্যা পাল্টে গিয়েছিল জন ববিটের। কেননা তার পুরো শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তার মনে হচ্ছিল যেন কোনো দুঃস্বপ্ন দেখছে সে। কিন্তু কল্পনা কিংবা দুঃস্বপ্নের চেয়েও বেশিকিছু ঘটে গিয়েছিল। তিনি ঘুম থেকে ওঠার পর বুঝতে পারেন তার পুরুষাঙ্গটি আর নেই।
Advertisement
যে ঘটনার বর্ণনা দিলাম সেটা ঘটেছিল ২৫ বছর আগে। ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সেই ঘটনা এখনো মানুষের স্মরণে আছে। ববিট নামের ওই ব্যক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরুষাঙ্গ কর্তনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হিসেবে ‘ববিটিজম’ সবার সামনে আসে।
জন ববিটের পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়েছিলেন তার স্ত্রী লোরেনা। সেই সময়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে ঝড় তোলে এই ঘটনা। ঘটনা সম্পর্কে যা জানা যায় তা এরকম, রান্নার কাজে ব্যবহৃত ছুড়ি দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটেন ববিটের স্ত্রী। স্বামীর পুরষাঙ্গ কাটার পর সেটা হাতে নিয়ে রাস্তা ধরে দৌড় দেন লোরেনা নামের ওই নারী। গোটা পৃথিবী শিউরে উঠেছিল এই নৃশংসতায়।
জানা গিয়েছিল, সেই সময় লোরেনা প্রকৃতিস্থ ছিলেন না। মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিলেন তিনি। সাময়িক উন্মাদনা থেকেই এমন নৃশংস কাণ্ড করে বসেন তিনি। কিন্তু এর পেছনেও কিছু প্রেক্ষাপট ছিল।
Advertisement
এমন ঘটনার পর লোরেনাকে আদালতে নেয়া হলে তিনি জানান, জন ববিট নামে তার স্বামী নাকি তাকে মাঝে মধ্যেই ধর্ষণ করতেন। তাছাড়া যে সকালে ঘটনাটি ঘটে, তার আগের রাতেও স্বামী তাকে ধর্ষণ করেছিলেন।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে এবিসির এক অনুষ্ঠানে জন ববিট সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। তবে এমন ঘটনার পরও বেঁচে যান তিনি। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন পুরুষাঙ্গটি খুঁজে পান এক পুলিশ কর্মী। সেটি খুঁজে পাওয়ার পর দ্রুত বরফে চাপা দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। দীর্ঘ অস্ত্রোপচারের পর তা জনের দেহে পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হয়।
এসএ/জেআইএম
Advertisement