অর্থনীতি

পুরোদমে চলছে বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি

কেউ পেরেক মারছেন, কেউ রঙ করছেন, কেউবা মালামাল নিয়ে এপাশ-ওপাশ ছোটাছুটি করে চলছেন, আবার কেউ সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত। টুং-টাং শব্দে এভাবে সবাই কাজ করে চলেছেন স্টল ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য।

Advertisement

আগামী ৯ জানুয়ারি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শুরু হচ্ছে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এই মেলার স্টল ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য চলছে মেলার আগ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রোববার সকালে শেরেবাংলা নগরে গিয়ে দেখা যায়, মেলার জন্য অধিকাংশ স্টলের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে স্টলগুলোর রঙ, সাজসজ্জা ও রাস্তা তৈরির কাজ।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশ দিয়ে প্রবেশ করতে মেলার ভিআইপি গেইট তৈরির কাজ করতে দেখা যায় কয়েকজন রাজমিস্ত্রিকে। পাশেই ছিলেন ভিআইপি গেইট তৈরির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার শেখ মো. জিরানি।

তিনি জানান, মেলায় দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য চারটি গেইট থাকছে। মেলায় মালামাল যাতায়াতের জন্য থাকছে আরেকটি সার্ভিস গেইট। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে ভিআইপি গেইটে থাকবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রতিকৃতি। আর মেলায় দুটি ডিজিটাল তথ্য কেন্দ্র থাকছে। এর একটি থাকবে ভিআইপি গেইট সংলগ্ন, অন্যটি প্রধান গেইট সংলগ্ন।

Advertisement

মেলায় দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য ১৯২টি পাকা বেঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঠিকাদার মো. শাহজাহানের অধীনে কোনো কোনো সময় ১৮ থেকে ২০ জন শ্রমিক কাজ করেছেন। জানান, আজ তার অধীনে দু’জন কাজ করছেন। তাদের একজন মো. সেলিম। তিনি টানা ১৮ দিন ধরে বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন স্টলে রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন। এই দু’জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন পর্যন্ত যতবার বাণিজ্য মেলা হয়েছে, কোনোবারই মেলা শুরুর আগে স্টল প্রস্তুতের কাজ একেবারে শেষ হয়নি। মেলার শেষ হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বিভিন্ন স্টলে টুকটাক কাজ করতে হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করেন তারা।

প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবার ৯ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে। মাসব্যাপী এই মেলা শেষ হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। বাণিজ্য মেলা না পিছিয়ে ৯ জানুয়ারিই শুরু হচ্ছে বলে জানান মেলার মাঠ পরির্দশক মো. খালিকুজ্জামান।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ৫৯৩টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর মধ্যে ফরেন (বিদেশি) প্যাভিলয়ন আছে ২৫টি, মিনি প্যাডেল ৭টা ও স্টল ১৭টা। যথাসময়েই মেলার কাজ শেষ করা সম্ভব। এখন হয়তো ১০ শতাংশ কাজ বাকি আছে।’

প্রদীপ দাস/এমআরএম/পিআর/এসজি

Advertisement