কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না, মাত্র ১২৮ রানের। তবে সিলেট সিক্সার্সের বোলাররা লড়াই করে গেলেন শেষ ওভার পর্যন্ত। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে স্টিভেন স্মিথের দল কুমিল্লা।
Advertisement
লক্ষ্য ছোট হলেও শুরু থেকে স্বস্তিতে ছিল না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এভিন লুইস আর তামিম ইকবালের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে মাত্র ১৬ রান, সেটাও সমান বল খরচ করে। লুইস মাত্র ৫ রান করে আল আমিন হোসেনের শিকার হন।
এরপর মোহাম্মদ ইরফানের বলে শূন্য রানেই বোল্ড ইমরুল কায়েস। যার দিকে চোখ ছিল সবার, সেই স্টিভেন স্মিথও তার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ১৭ বলে ১৬ রান করে আল আমিনের দ্বিতীয় শিকার তিনি।
টানা দুই ওভারে সন্দ্বীপ লামিচানে তুলে নেন শোয়েব মালিক আর এনামুল হক বিজয়কে। মালিক করেন ২০ বলে ১৩ রান, বিজয় ৫ বলে ৫। সতীর্থদের এই আসা যাওয়ার মাঝেও একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ৩৪ বলে একটি করে চার ছক্কায় গড়া তার ৩৫ রানের ইনিংসটি থেমেছে রানআউটের কবলে পড়ে। ৯৭ রানে তখন ৬ উইকেট হারিয়ে তখন বিপদে কুমিল্লা।
Advertisement
তবে তামিম ফেরার পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন কুমিল্লার আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শহীদ আফ্রিদি। পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার ২৫ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় হার না মানা ৩৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।
এর আগে ডেভিড ওয়ার্নার, নিকোলাস পুরান, সাব্বির রহমানদের মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান থাকা সত্ত্বেও নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে ১২৭ রানের বেশি করতে পারেনি সিলেট সিক্সার্স। প্রথম দিনের মতোই স্লো অ্যান্ড লো উইকেটে বড় শট খেলা ছিল বড্ড কষ্টকর।
উইকেটের চরিত্র বুঝে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। পরে তার বোলাররাও প্রমাণ করেছেন এমন সিদ্ধান্তের সার্থকতা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সাথে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলেছেন সাঈফউদ্দীন, মেহেদি হাসানরা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই ভালো হয়নি সিলেটের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরের পথে ধরেন লিটন কুমার দাস। পঞ্চম ওভারে তৌহিদ হৃদয়ের সাথে ভুল বোঝাবোঝি এবং থার্ড আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে রানআউট হন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। ৩ চারের মারে খেলেন ১৪ রানের ইনিংস।
Advertisement
এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুব মারমুখী ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দিলেও সেটি বেশিক্ষণ চালিয়ে নেয়া হয়নি তার। দলীয় পঞ্চাশের আগেই তিনি সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায়। তিন নম্বরে নেমে একদমই সুবিধা করতে পারেননি হৃদয়। মাত্র ৮ রান করতে তিনি খেলে ফেলেন ২৪টি বল।
ব্যর্থ হন সাব্বির রহমানও। ইনিংসের প্রথম ছক্কা হাঁকালেও মাত্র ৫ বলে ৭ রানেই থামে তার ইনিংস। তবে তবে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহকে শতক পার করান নিকোলাস পুরান এবং অলক কাপালি।
পাঁচ চারের সাথে দুই ছক্কার মারে ২৬ বল খেলে ৪১ রান করেন পুরান। কাপালির ব্যাট থেকে ১ ছক্কার মারে ১৯ রান। শেষদিকে তাসকিন আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান।
কুমিল্লার পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ শহীদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন।
এমএমআর/পিআর/এসজি