উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বগুড়ার সারিয়াকান্দির বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এমনকি বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় রোববার থেকে এলাকার ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরো ২০টি প্রতিষ্ঠান জলমগ্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মোত্তালেব জানান, পাঁচদিন যাবত যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রোববার দুপুর ১২ টায় যমুনা নদীর পানি সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট বন্যায় বেড়িবাঁধের বাইরের এলাকা প্লাবিত হলেও ভেতরে বন্যার পানি প্রবেশ করতে পারেনি বলে তিনি জানান।সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল মাহমুদ জানান, রোববার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে উপজেলার চন্দনবাইশা ইউনিয়নের ঘুঘুমারি, শেখপাড়া, কুতুবপুর ইউনিয়নের বয়রাকান্দি, ধলাকান্দি, কামালপুর ইউনিয়নের দড়িপাড়া, ইছামারি, রহদহ ও গোদাখালী এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) কামরুল হাসান জানান, ইতোমধ্যে ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিকল্প হিসেবে উঁচু স্থানে কোনো মতো শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। আর চরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।এদিকে বন্যার পানি প্রবেশ করায় বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজন নতুন করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কুতুবপুর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি থেকে কামালপুর ইউনিয়নের গোদাখালি পর্যন্ত নবনির্মিত ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ এবং মঙ্গলবার থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকার জন্য ১০ মেট্রিক টন খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ করা হয়েছে। লিমন বাসার/এসএস/পিআর
Advertisement