সৌদি আরবে আটক এক নারী মানবাধিকার কর্মীর জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার এই ভিডিও ফুটেজ ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দিয়ে জেরা করেছেন কর্মকর্তারা।
Advertisement
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা আল-কাস্ট হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন এক বিবৃতিতে সৌদি ওই নারী মানবাধিকার কর্মীর ভয়ঙ্কর এই ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ করেছে। ওই মানবাধিকার কর্মীর নগ্ন ভিডিও ধারণের পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় টেবিলে নগ্ন ছবি রেখে তাকে জেরা করা হয়।
আরও পড়ুন : ২০৬ বছর পর মিলল নেপোলিয়নের লুকিয়ে রাখা গুপ্তধন!
আল-কাস্ট বলছে, সৌদি ওই নারীকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় একজন জিজ্ঞাসাবাদকারী তার কাছে জানতে চান, কে তাকে রক্ষা করবে এবং কোনো মানবাধিকার সংস্থা তাকে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসবে কি-না।
Advertisement
অন্যান্য আটক নারী বন্দিদের সঙ্গেও একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ও ইলেক্ট্রিক শক দেন জিজ্ঞাসাবাদকারীরা। ব্রিটিশ এই মানবাধিকার সংস্থা বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতনের কারণে তিনজন নারীর শরীরে মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়েছে। আতঙ্কের মধ্যে সময় পারের পাশাপাশি শরীরের ওজন হারিয়ে ফেলছেন তারা।
আরও পড়ুন : ‘মমতাই হবেন ভারতের প্রথম বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’
সৌদি রাজকীয় আদালতের সাবেক উপদেষ্টা সৌদি আল-কাহতানিকে টর্চার চেম্বারে একাধিকবার দেখা গেছে। যেখানে তিনি এক নারী বন্দিকে হুমকি দিয়ে বলেন, আমি তোমার সঙ্গে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবো এবং তোমার দেহ খণ্ড-বিখণ্ড করে টয়লেটে ফেলে দেব।
গত অক্টোবরে আল-কাহতানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে দেশটির নির্বাসিত সাংবাদিক ও সৌদি রাজপরিবারের সমালোচক জামাল খাশোগিকে হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে সৌদি রাজকীয় আদালতের সাবেক এই উপদেষ্টার বিরুদ্ধে।
Advertisement
খাশোগিকে হত্যার পর তার মরদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করা হয় বলে দাবি করে আসছে তুরস্ক। তবে এখন পর্যন্ত তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।
এসআইএস/এমএস