ধর্ম

সর্বোত্তম চরিত্রবান হতে যে গুণগুলো আবশ্যক

দুনিয়ার শান্তি ও পরকালের মুক্তির জন্য মানুষকে উত্তম চরিত্রবান হওয়ার বিকল্প নেই। যে ব্যক্তি চরিত্রবান সে ব্যক্তির দুনিয়া ও পরকালের সফলতা সুনিশ্চিত। এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন-

Advertisement

‘আমি উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা বিধানের জন্য প্রেরিত হয়েছি।'

এমন কিছু গুণ রয়েছে যেগুলো নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়ন করলেই মানুষ উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে পারে। উত্তম গুণাবলীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিতে গিয়ে হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি বলেন-

‘আপনি অপরের সঙ্গে এমন আচরণ করবেন, যাতে মনে হবে আপনি তার বন্ধু এবং নিজের শত্রু। সুতরাং নিজের কাছ থেকে জোরপূর্বক অন্যের অধিকার আদায় করে দিন এবং নিজের জন্য অধিকার আদায়ের দাবি হতে বিরত হোন, তা সে অধিকার যত ন্যায়সঙ্গত হোক না কেন।’

Advertisement

মনে রাখতে হবেএকজন মানুষ তখনই উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে পারবে যখন ন্যূনতম ৪টি গুণে গুনাম্বিত হবে। অন্যথায় মানুষ চরিত্রহীন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর তাহলো-

> জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী হওয়া।> বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ মনোভাব।> ন্যায় ও ইনসাফের অধিকারী হওয়া।> পবিত্রতা ও নিষ্কলুষতা অর্জন করা।

উল্লেখিত গুণগুলো অর্জন করতে পারলেই মানুষের মাঝে তৈরি হবে ক্ষমার গুণ। মানুষ হবে উদার এবং দান-সহযোগিতার নৈতিক গুণও তৈরি হবে। ধৈর্য, মায়া, মমতা, ভালোবাসা, সৌহার্দ্য, বিনয়, নম্রতা ও ভদ্রতা প্রকাশ পাবে। আর সে ব্যক্তি হয়ে ওঠবে সর্বোত্তম চরিত্রের অনুপম আদর্শ।

যে উত্তম চরিত্রের আদর্শ বাস্তবায়নে সত্য গ্রন্থ কুরআনসহ পৃথিবীতে প্রেরিত হয়েছিলেন বিশ্বনবি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

Advertisement

আরও পড়ুন > উত্তম চরিত্র লাভে বিশ্বনবি যে দোয়া শিখিয়েছেন

সুতরাং একজন মানুষ ন্যূনতম উল্লেখিত গুণগুলো অর্জনের মাধ্যমে নিজেদেরকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলবে। ঈমানের দাবিও এটাই।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে উল্লেখিত গুণগুলোর উপযোগী মানুষ হিসেবে নিজেদের তৈরি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস