জাতীয়

প্রথম দিন শপথ নিলেন ২৮৯ জন

একাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত এমপিদের মধ্যে ২৮৯ জন শপথ নিয়েছেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছাড়াও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাতজন শপথ নেননি।

Advertisement

অসুস্থতার কারণে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শপথ নিতে পারেননি। তবে এরশাদ ঠিক কী কারণে অন্যদের সঙ্গে শপথ নেননি সে বিষয়ে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি দলটির সিনিয়র নেতাদের কাছ থেকে।

ঐক্যফ্রন্টের সাতজনের শপথ না নেয়ার ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘শপথ তো পার হয়ে গেছে, শপথ নেব কোথায়? প্রত্যাখ্যান করলে আবার শপথ থাকে নাকি? আমরা শপথ নিচ্ছি না।’

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে চার ধাপে তারা শপথ নেন। স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালিবিধি অনুযায়ী প্রথমে নিজে শপথ গ্রহণ করেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

Advertisement

দ্বিতীয় ধাপে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ২৫৬ জনের শপথবাক্য পাঠ করান। তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির তিনজন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) দুজন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের দুজন, তরিকত ফেডারেশনের একজন, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) একজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনজন শপথ নেন।

চতুর্থ ধাপে জাতীয় পার্টির ২১ জন সংসদ সদস্য শপথ নেন। শপথ গ্রহণ শেষে সবাই শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯৮টি আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নাম এবং পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা সংবলিত গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করে। এর আগে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

নির্বাচনের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় ওই আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।

Advertisement

উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ ২৫৭টি, জাতীয় পার্টি ২২টি, বিএনপি পেয়েছে পাঁচটি আসন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি (বাসদ) তিনটি আসন, গণফোরাম দুটি (এর মধ্যে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এবং গণফোরামের নিজস্ব প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে মোকাব্বির খান নির্বাচিত হন), বিকল্প ধারা বাংলাদেশ দুটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) দুটি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন একটি, জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তিনটি আসনে জয়ী হন।

এইচএস/জেডএ/জেআইএম