সম্মতির ভিত্তিতে শারীরিক সম্পর্কের পর কোনো পুরুষ যদি সঙ্গীকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হন; তাহলে সেই শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে না। আর এই ব্যর্থতার দায়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলাও দায়ের করা যাবে না, বরং প্রতারণা মামলা করা যেতে পারে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণের মামলার শুনানি শেষে এ রায় দিয়েছেন। সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি এ কে সিকরি এবং এস আব্দুল নাজিরের বেঞ্চ এ রায় দেন।
বিচারকরা বলেন, ভালোবেসে যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ একসঙ্গে থাকতে পারেন এবং দু’জনের ইচ্ছা অনুযায়ী যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। কিন্তু সম্পর্ক বিয়ের আগেই যে কোনো কারণে ভেঙে গেলে পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে কোনো নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি ভাঙার মামলা হতে পারে, কিন্তু ভুয়া প্রতিশ্রুতির কারণে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা যাবে না।
আরও পড়ুন : চীনে সিরিয়াল ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
Advertisement
আদালত বলছেন, ‘ধর্ষণ এবং সম্মতিসূচক যৌন সম্পর্কের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য আছে। সেক্ষেত্রে আদালতের উপর বাড়তি দায়িত্ব থাকে এটা বোঝার যে, পুরুষ সঙ্গী কোনো বিশেষ কারণে বিয়ে করতে অক্ষম নাকি শুধুমাত্র যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্যই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অনিচ্ছাকৃত কথা না রাখা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়ার মধ্যে বিস্তার ফারাক রয়েছে।’
মহারাষ্ট্রের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আনা এক নার্সের অভিযোগের শুনানির সময়ে এই রায় দেয় দেশটির শীর্ষ আদালত। মামলার শুনানি শেষে আদালত জানান, অভিযোগকারী নার্স নিজের ইচ্ছাতে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন।
নার্স নিজেও স্বীকার করেছেন, একাকীত্ব থেকে ওই চিকিৎসকের প্রেমে পড়েন তিনি এবং একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। চিকিৎসক শারীরিক বা মানসিক বল প্রয়োগ করে তাকে লিভ টুগেদারে বাধ্য করেননি। ফলে তাকে বিয়ে না করে অন্য কোনো নারীকে বিয়ে করার জন্য ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায় না।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
Advertisement
এসআইএস/পিআর