ফিচার

স্কাউটিংয়ে রাষ্ট্রপতি অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাকিব

কাব স্কাউট, স্কাউট, রোভার স্কাউট- এ তিনটি স্কাউটিংয়ের পর্যায়। তিনি রোভারিংয়ের সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া ভারতে ২০তম আন্তজার্তিক অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রাম-২০১৮, নেপালে ৩য় জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি এবং ফিলিপাইনে ৯ম এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল স্কাউট ইয়ুথ ফোরাম এবং ২৬তম এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল স্কাউট কনফারেন্স-২০১৮ তে অংশগ্রহণ করেছেন।

Advertisement

পেয়েছেন রোভার স্কাউটদের জন্য বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ সম্মাননা রাষ্ট্রপতি অ্যাওয়ার্ড। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রোভার স্কাউট প্রোগ্রাম যথাযথভাবে বাস্তবায়ন ও সম্পন্ন করার সম্মাননা স্বরূপ পান এই স্বীকৃতি। গতবছর ৫ নভেম্বর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিশনে রাষ্ট্রপতি ও চীফ স্কাউট মো. আবদুল হামিদ তার হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।

এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম, তিনি আবুল কাশেম রাকিব। ঢাকা কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ঢাকা কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সেবা স্তরের রোভার। তিনি বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য এবং বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটসের সমাজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

> আরও পড়ুন- ক্যাপ্টেন এনাম তালুকদারের বিচিত্র জীবন 

Advertisement

আবুল কাশেম রাকিব লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের আটিয়াতলি এলাকার ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি শহরের লাহারকান্দি ফরিদিয়া রেজিস্ট্রি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, সদরের জকসিনের আবিরখিল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং যাদৈয়া ইসলামিয়া ফাজিল (বি.এ) মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন ঢাকা কলেজে মাস্টার্সে পড়াশোনা করছেন।

স্কাউটিংয়ে সম্পৃক্ততা সম্পর্কে আবুল কাশেম রাকিব বলেন, ‘বন্ধু নূর মোহাম্মদের (পি.আর.এস) অনুপ্রেরণায় ২০১৩ সালে রোভারিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত হই। তখন কেবল ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েছি। সাপ্তাহিক ক্রু-মিটিং, অভ্যন্তরীণ ও বহিঃকার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নেই। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন করে রোভারিংয়ের পর্যায় এবং স্তর উত্তীর্ণ হই।’

অর্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাকে প্রায় ৪শ পৃষ্ঠার একটি লগ বই লিখতে হয়েছে। পাশাপাশি জেলা, অঞ্চল এবং জাতীয় পর্যায়ে সাঁতার, লিখিত, মৌখিক, ব্যবহারিক মূল্যায়নে অংশ নিয়েছি। এসব আমি সফলতার সাথে শেষ করেছি এবং পি আর এস অর্জন করি। বিশেষভাবে ‘রাষ্ট্রপতি অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন আমার স্বপ্নকে সফল করেছে। আমার ছাত্র জীবনে এটি অনেক বড় অর্জন। বলতে গেলে এটি আমার জীবনকে একেবারে বদলে দিয়েছে।’

> আরও পড়ুন- সচেতনতা বাড়াতে ব্যতিক্রমী স্থিরচিত্র 

Advertisement

স্কাউটরা আসলে কেমন? স্কাউট আন্দোলনের বন্ধুদের প্রতি আপনার পরামর্শ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্কাউটরা আত্মপ্রত্যয়ী, পরোপকারী, দায়িত্ব পালনে সদা সচেষ্ট। নেতৃত্বের সবটুকু গুণাবলী স্কাউটদের মধ্যে আছে। তবে পড়ালেখার ক্ষতি করে কোনভাবেই স্কাউটিং করা যাবে না। রোভার স্কাউটদের প্রণীত প্রোগ্রামগুলো ঠিকমতো বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলেই সফলতা ধরা দেবে।’

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আবুল কাশেম রাকিব বলেন, ‘স্কাউটিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কিশোর, কিশোরী ও তরুণদের স্কাউট প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে সহায়তা দেব। স্কাউটিংয়ের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে সেবা দিয়ে যাব।’

এসইউ/আরআইপি