চলে গেলেন ক্রিকেটার গড়ার কারিগর। শচিন টেন্ডুলকার, বিনোদ কাম্বলি, প্রভীন আমরেদের মতো ক্রিকেটার উঠে এসেছে যার হাত ধরে; সেই রমাকান্ত আচরেচার পারি জমালেন না ফেরার দেশে। বুধবার বিকেল চারটায় নিজ বাসভবনেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই কোচ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
Advertisement
২০১৩ সালের স্ট্রোকের পর থেকেই বার্ধক্যজনিত নানান ধরণের অসুখে ভুগছিলেন আচরেকার। বাকশক্তিও হারিয়ে ফেলেছিলেন। অসুস্থ গুরুর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই দেখা করে আসতেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ শচিন, তার খোঁজখবর রাখতেন সবসময়।
এই আচরেকারের হাত ধরেই যে আজ এত খ্যাতি এত নামডাক শচিনের। প্রতিভাবান এই ছাত্রকে ভীষণ পছন্দ করতেন আচরেকার। মুম্বাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় শচিনকে নিজের স্কুটারে বসিয়ে ম্যাচ খেলাতে নিয়ে যেতেন। এমন একজনের ঋণ কি চাইলেই শোধ করা যায়!
স্বভাবতই গুরু আচরেকারের মৃত্যুর খবর শুনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন শচিনই। ভারতীয় ক্রিকেটের এই জীবন্ত কিংবদন্তি তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, 'খেলার মাঠেও যেমন সোজা ব্যাটে খেলতে বলতেন আচরেকার স্যার, তেমনই জীবনেও সহজ-সরল থাকার পরামর্শ দিতেন সবসময়। যদি স্বর্গ বলে কিছু থেকে থাকে, তবে আচরেকার স্যারের অন্তর্ভুক্তিতে সেখানকার ক্রিকেট সমৃদ্ধ হবে।'
Advertisement
১৯৩২ সালে জন্ম আচরেকারের। ভারতীয় ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছিলেন দ্রোণাচার্য পুরস্কার। এমনকি পদ্মশ্রী সম্মানেও ভূষিত হন তিনি। মুম্বাইয়ের সারদাশ্রম বিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে শচিন, কাম্বলিদের ক্রিকেট পাঠ দিয়েছিলেন। পরে তাঁদের বিস্ফোরক উত্তরণ ঘটেছিল ক্রিকেট দুনিয়ায়।
এমএমআর/পিআর