মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর বিধান মেনে চলবে, এটাও মহান আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। বান্দা প্রশংসা করবে ও সন্তুষ্ট থাকবে সেই আল্লাহর ওপর যিনি বান্দাকে হাসান, কাঁদান, বাচান এবং মারেন।
Advertisement
মুমিন বান্দা এ কারণেই (সুখ-দুঃখ) সর্বাবস্থায় বান্দা আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবে। বিশেষ করে তিনটি বিষয়ের ওপর সব সময় সন্তুষ্ট থাকবে। সৃষ্টিকর্তা হিসেবে শুধু আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট থাকবে তা নয়। বরং জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম পেয়েও তার ওপর সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
আবার সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পেয়েও সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এ সন্তুষ্টির শুকরিয়া আদায় করতে হবে। এটাও মহান আল্লাহর নির্দেশ। যে নির্দেশ বাস্তবায়নে রয়েছে মহা পুরস্কার। হাদিসে পাকে এসেছে-
‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে রব বা প্রতিপালক হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট। ইসলামকে জীবন ব্যবস্থা হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট এবং বিশ্বনবি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবি হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট। তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব।’ (মুসলিম)
Advertisement
হাদিসের ঘোষণায় প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুমিন বান্দার জন্য ছোট্ট ৩টি সন্তুষ্টিতে জান্নাত আবশ্যকের ঘোষণাও দিয়েছেন।
তাইতো কোনো মুমিন বান্দাই এ ঘোষণার কথা ভুলে না। বরং সকাল-সন্ধ্যা নিজেদের সন্তুষ্টির কথা বার বার পড়তে থাকে-رَضِيْتُ بِاللهِ رَبَّا وَ بِالْاِسْلَامِ دِيْنًا وَ بِمُحَمَّدٍ نَبِيًّاউচ্চারণ : ‘রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাও ওয়া বিল ইসলামে দ্বীনাও ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা।’অর্থ : ‘(হে আল্লাহ!) আমি আপনাকের রব হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট আর প্রিয়নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবি হিসেবে পেয়েও সন্তুষ্ট।’ (মুসলিম)
আরও পড়ুন > আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে যে অনুভূতি আবশ্যক
এ ঘোষণার ফলেই মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাকে চিরস্থায়ী শান্তির আবাসস্থল জান্নাত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দান করবেন।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার সব কথা ও কাজে মহান আল্লাহ ও তার রাসুলের ঘোষণা অনুযায়ী ইসলামের দিক-নির্দেশনাগুলো ভালোবাসার সঙ্গে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। চিরস্থায়ী শান্তির জান্নাত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর