জাতীয়

বছরজুড়ে ৯৪২ ধর্ষণ

গত বছরের (২০১৮) জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে উদ্বেগজনক হারে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৯৪২টি। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৮২ জন নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৬৩ জনকে। মোট ৩ হাজার ৯১৮ জন নারী ও কন্যা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

Advertisement

বাংলাদেশে মহিলা পরিষদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০১৮ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১২৮ জনকে, শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছেন ৭১ জন, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৪৬ জন। এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ১৯ জন নারী। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ৭৩ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১৪৫টি।

Advertisement

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জাননো হয়, ৪১ জন নারী ও শিশুকে পাচার করা হয়েছে। এর মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে ১৫ জনকে। ৪৮৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৩৯ জনকে। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১২ জন নারী। তাদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ১০২ জনকে। ৮৭ জন গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৫৮ জনকে এবং নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন চারজন। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ১৭১ জনকে। এর মধ্যে উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১৪ জন। ফতোয়ার শিকার হয়েছেন ১২ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ৩০৫ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন এবং আরত্ত আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ১৮ জন, আত্মহত্যায় প্ররোচণার শিকার ৪৭ জন এবং ৩৭৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বাল্য বিয়ের সংক্রন্ত ঘটনা ঘটেছে ১৯৩টি। এর মধ্যে ৫২টি বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রতিরোধ করা হয়েছে ১৪১ টি। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৯ জন নারী। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ২৮১ জনকে। জোড়পূর্বক বিয়ের শিকার ২১ জন। এ ছাড়া অন্যান্যরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

এএস/জেডএ/জেআইএম

Advertisement