বিয়ের বয়স কমাতে আইন সংশোধন করলে তা বাল্যবিয়ের হার কমিয়ে আনার অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে বলে জানিয়েছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এইচআরডব্লিউর নারী অধিকার বিষয়ক পরিচালক লিজেল গেনহলজ সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের বয়সের আইনসিদ্ধ সীমা কমিয়ে ১৬ বছর করা হলে তা হবে ভুল দিকে একটি ভয়ংকর পদক্ষেপ। এছাড়া ছেলে-মেয়ে সবার ক্ষেত্রেই বিয়ের বয়স ১৮ করার আহবান জানিয়ে শিশুদের কল্যাণের বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্তের প্রধান বিবেচ্য হওয়া উচিৎ বলে বিবৃতিতে মত দিয়েছে এইচআরডব্লিউ।বর্তমান আইনে বাংলাদেশে মেয়েরা বিয়ের যোগ্য হয় ১৮ বছর বয়সে, জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী ওই বয়সেই শৈশব শেষ হয়। সম্প্রতি লন্ডনে কন্যাশিশু সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাল্যবিয়ের হার কমিয়ে আনার বিষয়ে নিজের অঙ্গীকারের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।অন্যদিকে সম্প্রতি বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য দুই বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইন করার প্রস্তাবে সায় দেয় সরকার।গত ২ সেপ্টেম্বর এক আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক সরকারের পরিকল্পনার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, বয়স হওয়ার আগেই ঘর ছেড়ে পালিয়ে বিয়ের প্রবণতার কারণে মেয়েদের বিয়ের বয়স দুই বছর কমানোর বিষয়টি সামনে এসেছে।এইচআরডব্লিউ বিবৃতিতে খসড়া আইনে বিবাহকারী, বিয়ে পরিচালনাকারী ও অভিভাবকের জন্য একই শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এর বদলে শাস্তির বিধি এমন হওয়া উচিৎ যাতে এর পেছনের মূল ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় এনে বাল্য বিয়ে রোধ করা যায়।
Advertisement