অর্থনীতি

বেহাল নাগরিক সেবার মধ্যে বাড়ছে হোল্ডিং ট্যাক্স

নাগরিক সেবার বেহাল দশা থাকলেও নগরবাসীর করের বোঝা বাড়ছে। সেবার মান বাড়ানোর অজুহাতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। সর্বশেষ ২০০৭ সালে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়। তবে সিটি কর্পোরেশনগুলোর উচ্চ পর্যায় এখনই হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর পক্ষে নয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার নাগরিক সেবার মান অনেকটা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টিতেই তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এমন পরিস্থিতিতে সিটি কর্পোরেশনগুলো হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর অধিকার রাখে না। সূত্র বলছে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগকে একটি মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর কথা বলা হয়। বর্তমানে ১২ শতাংশ হারে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয় নগরবাসীকে। এটি ১৫ শতাংশ করা হতে পারে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেবার মান বাড়িয়ে তারপর সিটি কর্পোরেশনগুলোর উচিত হবে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো। তারা বলছেন, ঢাকার নাগরিক জীবনে সুযোগ-সুবিধার ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে নাগরিকরা যে হারে হোল্ডিং ট্যাক্স দিচ্ছেন, তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কি-না সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। আবার ঠিক মতো আদায় হচ্ছে কি-না সেটি নিয়েও প্রশ্ন আছে।সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা আরো বলেন, নাগরিকরা অনেকে ঠিক মতো হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধও করেন না। বছরের পর বছর অনাদায়ি থাকছে। এমন পরিস্থিতিতে আদায়ের দিকে সিটি কর্পোরেশন মনোযোগ দিতে পারে। একই সঙ্গে আয়ের সঠিক ব্যবহারের দিকে। তারপর যদি মনে হয়, অর্থ অপ্রতুল, তখন এটি বাড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি।তিনি বলেন, ঢাকার রাস্তাঘাটের কি বেহাল দশা। অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। যেনো দেখার কেউ নেই। এভাবে চলা যায় না।সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের মৌখিক নির্দেশনার বরাত দিয়ে একজন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে বলেছেন, ঢাকার সেবার মান বাড়াতে প্রয়োজনে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ান। কিন্তু মানুষকে সেবা দিতে হবে।জানা গেছে, গত ২ মার্চ এ সংক্রান্ত সিটি কর্পোরেশন আদর্শ কর তফসিল-২০১৫ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। নতুন আদর্শ কর তফসিলে সম্পত্তি হস্তান্তর, ময়লা নিষ্কাশন ও সড়কবাতি করসহ কিছু ক্ষেত্রে নতুন করে করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এগুলো বাস্তবায়নের আগে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর কোন নির্দেশনা তখন পর্যন্ত ছিল না।সর্বশেষ ঢাকার নির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন বাজেট ঘোষণাকালে এখনই হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ছে না বলে জানিয়েছিলেন। এসএ/এআরএস/আরএস/এমএস

Advertisement