একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের গেজেট প্রকাশে তোড়জোড় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই যাতে বিজয়ীদের নাম-ঠিকানা যেন সরকারি মুদ্রণালয়ে পাঠানো সম্ভব হয়, এ জন্য জোর প্রস্তুতি চলছে। কোনো কারণে কাজ শেষ করা সম্ভব না হলে বুধবার গেজেটের ম্যাটার বিজি প্রেসে পাঠানো হবে। এ ক্ষেত্রে গেজেট প্রকাশ হবে বুধবার। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইসি সচিব জানান, নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের সব প্রস্তুতি চলছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে। সব তৈরি করে প্রেসে পাঠানোর চেষ্টা করা হবে। আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে সম্ভব না হলে কাল (বুধবার) গেজেট প্রকাশ হবে।
Advertisement
সচিব জানান, গেজেট প্রকাশের পর শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের কাছে তা পাঠাবে ইসি সচিবালয়।
জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। তবে ভোটের কত দিন পর গেজেট হবে, সেই বিষয়ে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে স্পিকারকে অবহিত না করলে বা শপথ না নিলে সদস্য পদ খারিজ হবে।
Advertisement
এদিকে নতুন এমপিদের শপথ ৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। শপথ কক্ষের ধারণক্ষমতা কম হওয়ায় দুই দফায় শপথ হবে। সংসদের আইনশাখার কর্মকর্তারা জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার সংসদ ভবন ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে সাজসাজ রব। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে শপথ কক্ষ। বুধবারের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ফলাফল গেজেট আকাশে প্রকাশ করার পরই নতুন এমপিদের ফোন করে শপথের কথা জানিয়েছে দেয়া হবে।
আজ সকালে দশম সংসদের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা আগামী ৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শপথগ্রহণ করবেন। এর আগে আগামীকাল (বুধবার) গেজেট জারি হবে। সুতরাং মহাজোটের সরকার গঠন হতে যাচ্ছে, এটা অবধারিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা নতুন সরকার পাব।’
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হয়। ২৯৮ আসনের ফলাফলে দেখা গেছে, ২৮৮টিতে আওয়ামী লীগ ২৫৯, জাতীয় পার্টি ২০, ওয়ার্কার্স পার্টি তিন, জাসদ দুই, বিকল্পধারা দুই, তরিকত ফেডারেশন এক, জাতীয় পার্টির (জেপি) একজন জয়ী হয়েছেন। বিএনপি জোট অর্থাৎ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র সাতটি (বিএনপি পাঁচ, গণফোরাম দুই) আসন। স্বতন্ত্রসহ অন্যান্যরা জয় পেয়েছেন তিনটি আসনে।
Advertisement
এইচএস/জেডএ/আরআইপি