লাইফস্টাইল

নতুন বছরে সফল হতে যা করবেন

পুরনো ব্যর্থতাকে ভুলে নতুনকে সঙ্গী করেই এগিয়ে যেতে হয়। বিদায়ী বছরে কী পাননি, কিসে ব্যর্থ হয়েছেন সেই হিসাব বাদ দিয়ে নতুন বছরে সফলতা পথ খুঁজে বের করুন। আমাদের নানারকম ভুল অভ্যাসই আমাদের পেছনে ফেলে দেয়, ব্যর্থ করে দেয়। তাই সফলতার পথে হাঁটতে হলে কিছু সুন্দর অভ্যাস গড়ে তুুলুন-

Advertisement

আরও পড়ুন: সেরা স্বামী হতে চাইলে যে গুণগুলো থাকা জরুরি

দিনের বেশিরভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বুঁদ হয়ে থাকার অভ্যাস থাকলে তা থেকে বাইরে বের হয়ে আসুন। এবছর নিয়মটা নাহয় একটু পাল্টে দিলেন! বই পড়তে ভালোবাসলে বা গান শুনতে পছন্দ করলে এই সময়টা কাজে লাগান। এতে সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তিও কমবে আবার প্রিয় শখ বজায়ও থাকবে।

অফিসে থাকলে দুপুরের খাবারটা কি কোনোমতে সেরেই আবার সিটে গিয়ে বসে পড়েন? তাহলে এ বছর থেকে এই নিয়ম বদলে ফেলুন। বরং হাতে কিছুটা সময় রাখুন। খাওয়ার পর কয়েক পা হেঁটে আসুন। মিনিট পনেরো হাঁটলে শরীরের বিপাক হার বাড়িয়ে খাবার হজম করা সহজ হবে ও ওবেসিটির ভয়ও অনেকটা কমবে।

Advertisement

ইমেইলের ইনবক্সে একগাদা অদরকারি মেইল জমিয়ে রাখার অভ্যাস দূর করুন। এতে দরকারি মেইল খুঁজে পেতে যেমন সুবিধা হবে, তেমনই জীবনের একটা দিক অন্তত গুছিয়ে ফেলতে পেরেছেন দেখে মানসিক তৃপ্তিও পাবেন।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাড়ির খাবারে আস্থা রাখেন যারা, তাদের শরীরে অন্যদের তুলনায় প্রতি সপ্তাহে ১৭৩ ক্যালোরি ও প্রতি দিন প্রায় ১৬ গ্রাম করে কম চিনি প্রবেশ করে। সুতরাং মাঝে মাঝে বাইরে খান ক্ষতি নেই, কিন্তু কথায় কথায় রেস্তরাঁ আর নয়।

নতুন বছরে বদলে ফেলুন নিজের কিছু অভ্যাস, সারাক্ষণ খুব নিয়ম মেনে চলতে না পারলেও অন্তত ঘুমানোর আগে মোবাইলটি সরিয়ে রাখুন। এতে ঘুম না আসার সমস্যাকে আয়ত্তে আনতে পারবেন অনেকটই। তাছাড়া মানসিক চাপও কমে যাবে প্রায় কয়েক গুণ।

মাঝে মাঝে বাইরে খেতে গেলে নিজের কমফর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসুন। বরং কখনো খাননি এমন কোনো ডিশ অর্ডার করুন পছন্দের রেস্তরাঁয়। এতে নানা কুইজিনের সঙ্গে পরিচয় যেমন হবে, তেমনই প্রিয় খাবারের তালিকাও বাড়তে পারে।

Advertisement

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অন্তত পাঁচ মিনিট নিজের ত্বকের যত্ন নিন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা যেমন বাড়বে, তেমনই একেবারেই শরীরের কোনো যত্ন নিতে না পারার আক্ষেপও ঘুচবে।

সময় এবং সুযোগ করে বেড়ানোর অভ্যাস রাখুন। একান্তই দূরে যাওয়ার সময় করে উঠতে না পারলে অন্তত কোনো আত্মীয়র বাড়ি থেকে ঘুরে আসুন কয়েকটা দিন। এতে কাজের থেকে মুক্তি যেমন মিলবে, তেমনই অবসাদ দূর হয়ে পারিবারিক বন্ধনও দৃঢ় হবে।

বছরের প্রথম দিন থেকেই কিছু কিছু করে টাকা জমান। সারা দিনের খরচের পর বাজেটের বেঁচে যাওয়া টাকা জমিয়ে রাখুন। এতে মাসের শেষে বেশ কিছুটা টাকা হাতে থেকেই যায়। তার উপর জমানোর অভ্যাসটাও আলাদা করে তৈরি হয়।

আরও পড়ুন: প্রিয় মানুষটি ‘মাইক্রো চিটিং’ করছে না তো!

পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন। অন্তত সপ্তাহে এক দিন কোনো ঘনিষ্ঠ জনকে ফোন করুন, পারলে দু-তিন মাসের ব্যবধানেএকটা ছোটখাটো আড্ডার আয়োজন সেরে ফেলুন। এতে ব্যস্ত রুটিনের মাঝে নিজেরও খানিকটা ঝরঝরে লাগবে।

এইচএন/এমএস