দেশজুড়ে

এলেন, দেখলেন, জয় করলেন বাগেরহাট

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগেও দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল কে হবে বাগেরহাট সদর আসনের প্রার্থী। বর্তমান সংসদ সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা না অন্য কেউ।

Advertisement

প্রার্থী নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে রীতিমত বিভাজনও প্রত্যক্ষ হয়ে ওঠে। নীরব থেকে সরব হয়ে ওঠা আওয়ামী লীগের নেতাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে হু হু করে। তারপরও শেষমেষ হযরত খান জাহানের পূর্ণভূমি বাগেরহাট সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদল হবে-তো। নানা সমীকরণ- দলীয় নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাপ কর্মীদের হতাশা সবকিছু যেন একাকার।

ঠিক এমনই ক্লান্তি লগ্নে বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম শেখ সারহান নাসের তন্ময় বাগেরহাটের দু-চারটি সভায় অতিথি হিসেবে নৌকার পক্ষে ক্যানভাস শুরু করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তখনও মাস খানেকের বেশি সময় নেই। তখনও বাগেরহাট-কচুয়ার সাধারণ মানুষসহ দলীয় অনেক নেতাকর্মীরা জানেন না যে এই তরুণই বাগেরহাটের হাল ধরবেন।

ঠিক নির্বাচনের কিছুদিন আগে হঠাৎই শেখ তন্ময়কে বাগেরহাট সদর আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। তারপর হাতে গোনা কয়েকটি জনসভায় তন্ময়ের কথা বলা। সুদর্শন- বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করা উচ্চ শিক্ষিত ৩৩ বছরের যুবক শেখ তন্ময়ের সাবলীল বক্তব্য সাধারণ মানুষের হৃদয়ে দাগ কাটতে থাকে। শহরের তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ আবাল বৃদ্ধাসহ গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে মুহূর্তের মধ্যেই অত্যন্ত কাছের মানুষ হিসেবে পরিণত হয়ে যান তন্ময়।

Advertisement

২৭ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক খানজাহান আলী কলেজ মাঠে বাবা শেখ হেলাল উদ্দিন, মা রুপা চৌধুরী, শিক্ষকতায় নিয়োজিত স্ত্রী ইফরা তন্ময়, ছোট বোন ব্যরিস্টার অনন্যাসহ কাছের আরও কয়েকজন আত্মীয় নিয়ে জনসভায় বাগেরহাট বাসীর উদেশ্যে দেয়া ভাষণে মন কেড়ে নেন তন্ময়। এ যেন এলেন দেখলেন এবং বাগেরহাটকে জয় করলেন- বঙ্গবন্ধু পরিবারের যোগ্য উত্তরসূরি শেখ তন্ময়।

জেএইচ