নভেম্বরে ছিল বিদায়ী বছরের ফিফা ফ্রেন্ডলির শেষ উইন্ডো। ১২ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলার আপ্রাণ চেষ্টা করেও প্রতিপক্ষ পায়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ইংলিশ কোচ জেমি ডের চাওয়াটা তাই পূরণ হয়নি। ফিফা রাংকিংয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যেই বেশি বেশি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা জেমি ডের।
Advertisement
২০১৮ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ জাতীয় দল অংশ দেয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে। এর বাইরে ছিল শ্রীলংকার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। বিদায়ী বছরের ফিফা ফ্রেন্ডলির শেষ উইন্ডো ম্যাচ খেলতে না পারার পর বাফুফের চোখ এখন নতুন বছরে। মঙ্গলবার নতুন বছর শুরু হচ্ছে। ২০১৯ সালে ফিফা ফ্রেন্ডলির উইন্ডো আছে ৫টি। যার প্রথমটি ১৮ থেকে ২৬ মার্চ। এরপর ৩ থেকে ১১ জুন, ২ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর, ৭ থেকে ১৫ অক্টোবর ও ১১ থেকে ১৯ নভেম্বর।
প্রথম এ উইন্ডোটির সুযোগ নিতে পারছে না বাংলাদেশ। কারণ, একই সময় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের আছে এএফসি চ্যাম্পিয়শিপ। যে টুর্নামেন্ট টোকিও অলিম্পিক গেমস ফুটবলেরও বাছাই পর্ব। বাংলাদেশের জাতীয় দল মানেই প্রাধান্য তরুণ ফুটবলারদের। তাই ওই সময়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারবে না বাংলাদেশ।
৩ থেকে ১১ জুন বছরের দ্বিতীয় যে উইন্ডো আছে সেদিকেই নজর বাফুফের।
Advertisement
‘প্রথম উইন্ডোতে হয়তো ম্যাচ খেলা সম্ভব হবে না আমাদের। তাই আমরা দ্বিতীয় উইন্ডোতে প্রতিপক্ষ পাওয়ার চেষ্টা করছি। এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। আশা করি, জুনে বাংলাদেশ জাতীয় দল ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে পারবে’বলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।
তাহলে কী জাতীয় দল জুনের আগে কোনো ম্যাচ খেলতে পারছে না? বাফুফে সাধারণ সম্পাদক অবশ্য আশাবাদী ‘উইন্ডোতে ম্যাচ খেলতে না পারলেও অন্য সময় যে পারা যাবে না তাতো নয়। আমরা চেষ্টা করব জুনের আগেই ম্যাচ খেলার। আমরা সহসাই দল পাওয়ার জন্য যোগাযোগ শুরু করব।’
ফিফা ফ্রেন্ডলি বাদ দিলেও নতুন বছরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্যস্ত সময় কাটবে বাংলাদেশের। মার্চে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়ার মধ্যেই মূলত নতুন বছরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখবে বাংলাদেশের ফুটবল। জুনে ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ পেলে কিংবা তার আগে প্রতিপক্ষ পেলে জাতীয় দলের খেলা হবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের আরেকটি মিশন আছে ২০১৯ সালে। নেপালে অনুষ্ঠিতব্য সাউথ এশিয়ান গেমস ফুটবলে খেলবে বাংলাদেশ। যদিও এ গেমসের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
আগস্টে হওয়ার কথা সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ। ১৪ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর আছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব। একই মাসে হওয়ার কথা সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ। ১ থেকে ৬ অক্টোবর হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব।
Advertisement
নতুন বছরে মেয়েদের আছে ৫টি আন্তর্জাতিক আসর। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ মিয়ানমারে হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের রাউন্ড-২ এর বাছাই পর্ব। ১২ থেকে ২২ মার্চ নেপালে আছে সাফ সিনিয়র উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ। সাউথ এশিয়ান গেমসেও অংশ নেবেন বাংলাদেশের মেয়েরা, যার দিনক্ষণ ঠিক হয়নি এখনো।
মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা আছে আগস্টে। তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি। মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৬ দল অংশ নেবে এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে। ১৫ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডে হবে মেয়েদের এ টুর্নামেন্ট।
আরআই/এনডিএস/জেআইএম