জাতীয়

অর্থনৈতিক অগ্রগতি, মানুষের কল্যাণ অগ্রাধিকার পাবে

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নতুন সরকারের আমলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং মানুষের কল্যাণই অগ্রাধিকার পাবে। দেশের জনগণ হলো প্রধান বিচারক। ভালো মন্দ বিচার করেই জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে।’

Advertisement

সোমবার বিকেলে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নতুন সরকার হিসেবে শপথ নিয়ে কাজ শুরুর পর কোন বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে বিদেশি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ মতবিনিময় হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর একপাশে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম ও অপরপাশে গওহর রিজভী বসে ছিলেন।

বিএনপির এত কম আসন পাওয়া প্রসঙ্গে বিদেশি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। যারা নির্বাচনে পাস করার মতো ক্যানডিডেট মনোনয়ন না দিয়ে টাকা নিয়ে অন্যদের মনোনয়ন দিয়েছে।’

Advertisement

শেখ হাসিনা উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ‘ধামরাইয়ের বিএনপি জনপ্রিয় নেতা জিয়াউর রহমান, নারায়ণগঞ্জের তৈমুর আলম খন্দকার ও সিলেটের ইনাম আহমেদ চৌধুরীর মতো জনপ্রিয় নেতাদের মনোনয়ন না দিয়ে এমন কিছু নেতাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে; যাদের এলাকার মানুষ চেনে না। এমনিভাবে সারাদেশেই কোনো কোনো স্থানে তিন চারজনও ছিল তাদের প্রার্থী। প্রকৃত পক্ষে কে নির্বাচন করতে পারবে সেটাই তাদের অনেক প্রার্থী বুঝেই উঠতে পারেনি। এ ছাড়াও তাদের আরও অনেক দুর্বলতা ছিল। যে কারণে ঐক্যফ্রন্টের এমন ভরাডুবি হয়েছে।’

আপনার এ বিপুল বিজয়ের পেছনের ম্যাজিকটা কী? বিদেশি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ম্যাজিক কিছুই না। দেশের জনগণের কথা বিবেচনা করে দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে সে জন্য কাজ করেছি। গত ১০ বছরে দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান বেড়েছে, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে, শিক্ষিতের হার বেড়েছে। প্রাথমিক থেকে শুরু করে ডিগ্রি পর্যন্ত মেয়েদের পড়াশোনা ফ্রি করা হয়েছে। এ ছাড়া শিশুকে যাতে স্কুলে পাঠায় সে জন্য মায়ের মোবাইল ফোনে টাকা পাঠানো হয়। এতে শিক্ষার হার বেড়েছে। যুবকদের জন্য চাকরির ব্যবস্থাসহ ট্রেনিং দিয়ে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করার কারণে চাকরির সুযোগ বেড়েছে। এ ছাড়া মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে গেছে, ইত্যাদি করণে জনপ্রিয়তা বেড়েছে। যে কারণে মেজরিটি আসন পেয়েছি।’

এফএইচএস/এনডিএস/এমএস

Advertisement