ধর্ম

কুরআন মাজিদ হাত থেকে পড়ে গেলে কী করবেন?

ভুল বা বেখেয়ালে হাত অথবা কোনো স্থান থেকে পবিত্র কুরআন মাজিদ পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। কেননা মানুষ স্বাভাবিকভাবেই ভুল করে থাকে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য প্রার্থনা করলে ক্ষমা করে দেন।

Advertisement

কুরআন আল্লাহ তাআলা কিতাব। আর প্রত্যেক মুসলমানই অন্তর থেকেই পবিত্র কুরআনুল কারিমকে সর্বোচ্চ সম্মান করে থাকে। কোনো ব্যক্তিই চায় না যে পবিত্র কুরআনুল কারিমের বিন্দুমাত্র অসম্মান হোক। তারপরও অনেক সময় ভূলঃবশত হাত থেকে হোক আর কোনো স্থান থেকে হোক কুরআন পড়ে যায়।

কুরআন পড়ে যাওয়া সম্পর্কে এমন অনেক কথাই আমরা শুনে থাকি যে, হাত কিংবা কোনো স্থান থেকে কুরআন পড়ে গেছে, আর তাতে করণীয় কী? এর সাধারণ সমাধান হলো-

হাত থেকে কুরআন পড়ে গেলে যা করবেনযদি কখনো ভুলে হাত থেকে কিংবা কোনো স্থান থেকে কুরআন মাজিদ নিচের দিকে পড়ে যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে তা ওঠিয়ে নেয়া এবং পবিত্র কুরআনে চুম্বন করা। এ ভুল কৃতকর্মের ক্ষমা প্রার্থনায় ২ রাকাআত নামাজ আদায় করে নেয়া।

Advertisement

আরও পড়ুন > বাড়ি গিয়ে ফ্রিতে কুরআন শেখানোই যার কাজ

নিচে পড়ে যাওয়ার চেয়েও যে কাজে অসম্মানেরকুরআনের সবচেয়ে বড় অসম্মান হলো তা বন্ধ করে গিলাফে আবদ্ধ করে ঘরে ফেলে রাখা। ন্যূনতম মাসে একবার কুরআন পড়াকে বিরক্ত মনে করা হলো কুরআনের প্রতি সবচেয়ে বড় অসম্মান।

গোনাহের কাজ হলোএমনকি মুসলিম উম্মাহর সে সব লোকদের জন্য সবচেয়ে বড় গোনাহের কাজ হলো যে, কুরআন পড়া সত্ত্বেও সঠিক বার্তাটি উপলব্ধি না করা। কুরআনের সঠিক কথার আমল না করা। অথচ আল্লাহ তাআলা জীবন পরিচালনার জন্য এ কুরআন অবতীর্ণ করেছেন।

কুরআন থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করে তা বক্সে বন্দি করে ফেলে রাখাই সবচেয়ে বড় গোনাহের কাজও বটে।

Advertisement

আফসোস!বহু মুসলিম এমন আছে যে, যারা অনেক সুরা মুখস্ত জানেন অথচ এ সুরাগুলোর অর্থ এবং হুকুম জানে না। তেলাওয়াতে সেসব নিয়ম-কানুন ও বিধান মুখে উচ্চারিত হয় অথচ কাজ করতে থাকে তার বিপরীত। আর তাতে এসব মানুষের সাওয়াবের চেয়ে পাপই বেশি হয়।

আরও পড়ুন > বিশ্বসেরা কুরআনের তিন কারী (ভিডিও)

মনে রাখতে হবেভুলবশতঃ কারো হাত কিংবা কোনো স্থান থেকে কুরআন পড়ে গেলে, সঙ্গে সঙ্গে তা উঠিয়ে নেয়া এবং তা চুম্বন করা। আর এ ভুলের ক্ষমা প্রার্থনায় ২ রাকআত নামাজ আদায় করে নেয়া।

পাশাপাশি কোনো মুসলমানেরেই উচিত নয় যে, তারা এ পবিত্র গ্রন্থটি গিলাফবদ্ধ অবস্থায় কিংবা বক্সবন্দি করে ঘরে ফেলে রাখা। বরং নির্দিষ্ট একটি সময় করে অর্থসহ পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করাই জরুরি।

কেননা পরকালে বিচার ফয়সালার পর দুনিয়ার সব কুরআন তেলাওয়াতকারীর প্রতি নির্দেশ হবে যে, তুমি কুরআন তেলাওয়াত করতে থাকো। সুতরাং কুরআন তেলাওয়াতকারী যতক্ষণ কুরআন তেলাওয়াত করতে থাকবে তার মর্যাদা তত উঁচু হতে থাকবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত ভুল ও করণীয় গুলোর ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি কুরআনের বিধান বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস