নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও শেষ পর্যন্ত একাদশ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বিএনপি। তবে নির্বাচনের ক্ষমতাসীনদের কাছে ভরাডুবি হয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে, আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এ অবস্থায় তাদের জয়ী প্রার্থীরা সংসদ সদস্যের শপথ গ্রহণ করবেন কি না?
Advertisement
নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল প্রশাসনের সহায়তায় কারচুপি করে বিজয়ী হয়েছে অভিযোগ করে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ফলে বিএনপির যেসব প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন তারা কি গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত রাখার অংশ হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন না কি প্রত্যাখান করবেন? -এ প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক মহলের।
এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ভরাডুবির পর আজ (সোমবার) বিকেলে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম এবং ২০ দলীয় জোটের শরীক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। বিকেল ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় ফোরাম এবং জোটের এ বৈঠকে নেতারা পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন। এর আগে গতকাল রোববার রাতে নির্বাচন পরবর্তী প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানানো হলেও বিজয়ী প্রার্থীদের বিষয়ে কিছুই জানাননি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজকের (সোমবার) বৈঠকের পর বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাত্র ৫ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। যেখানে ক্ষমতাসীনদের সাথে জোটে থেকেও নিজেদের দলীয় প্রতীক (লাঙ্গল) নিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) ২২ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ফলে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের মর্যদাও পাচ্ছে না বিএনপি।
Advertisement
কেএইচ/আরএস/এমকেএইচ