গতকাল রোববার বাংলাদেশের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোট ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৭ আসন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৫ আসন, জাতীয় পার্টি (জাপা) ২২ আসন এবং অন্যান্য দল পেয়েছে ১৩ আসন।
Advertisement
অনেক দিক থেকেই এই নির্বাচন ছিল যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি। তার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বারের মতো বিশাল জয় পেল মহাজোট।
বাংলাদেশের এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। সোমবার বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেই প্রধান খবর হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল।
ব্রিটিশভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসিতে বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রকাশিত খবরের শিরোনাম করা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন : প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদে শেখ হাসিনার জয়।
Advertisement
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে করা খবরের শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনার জয় বিরোধী দলের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে চমকপ্রদ শিরোনাম দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘অবিশ্বাস্য’, আওয়ামী প্লাবনে খড়কুটোর মতো ভেসে গেল বিএনপি-জামাত জোট, বাংলাদেশে ইতিহাস।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার অভাবনীয় জয়, প্রহসন বলে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান বিরোধী দলের।
রয়টার্সের খবরের শিরোনাম করা হয়েছে, নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বড় জয়, ভোট পাতানো বলে অভিযোগ বিরোধী দলের।
Advertisement
রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, ‘বাংলার জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থনে, এই স্বাধীন-সার্বভৌম নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এর সব কৃতিত্বের দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি সরকারপ্রধান হয়েও স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সংবিধানের বিধান অনুযায়ী কীভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হয়, তার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।’
তবে নির্বাচনের ফলাফল পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
টিটিএন/এমকেএইচ