ফিচার

বিদায়ী সূর্যাস্তের পর নতুন সূর্যের অপেক্ষায়

গ্রামাঞ্চলে একটি প্রবাদ আছে- ‘যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ’। আসলে কি তা-ই? হতেও পারে। কারণ আগামী দিনগুলো কেমন যাবে- আমরা কি তা আগেই বলতে পারি? পারি না। হয়তো চলে যাওয়া দিনগুলোই ভালো হবে। অথবা নিজের চেষ্টায়-সতর্কতায়-পরিশ্রমে আগামী দিনগুলো বিগত দিনের চেয়ে আরো ভালো কাটতে পারে। এমনটাই তো চাই আমরা। আগামী দিনগুলো যেন ভালোই কাটে।

Advertisement

দেখতে দেখতে চলে যাচ্ছে ২০১৮ সাল। আজ ৩১ ডিসেম্বর। রাত শেষে উদিত হবে ২০১৯ সালের নতুন সূর্য। বিদায়ী বছরটা সবারই হাসি-আনন্দ, দুঃখ-দুর্দশা মিলেমিশে কেটে গেছে। কবির ভাষায়, ‘রূপ রস ও গন্ধময়,/পৃথিবী হতে বিদায় লয়,/পুরাতন বর্ষ শেষ হয়।’ পুরাতনকে হাসি মুখেই বিদায় দিতে প্রস্তুত আমরা।

বিগত বছরের রাজনৈতিক জল্পনা-কল্পনা কাটিয়ে নতুন সরকার পেতে যাচ্ছি। পর পর তিনবার ক্ষমতায় আসা রাজনৈতিক দলটি উন্নয়নের মহাসড়ক ধরেই এগিয়ে যাবে- এই প্রত্যাশা সবার। দেশে জঙ্গিবাদ, সহিংসতা, অরাজকতা, প্রতিহিংসা যেন মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে- এ কামনা সবার। একটি উন্নত, সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখার অভিপ্রায়ে বরণ করবো নতুন বছর।

> আরও পড়ুন- ২০১৯ সালে সফল হবেন যারা 

Advertisement

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে প্রিয় স্বদেশ। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে আরো বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার প্রত্যাশায় এগিয়ে যাবে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ কমিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার শপথ নেবে দেশের প্রত্যেক নাগরিক। নাগরিকের যাবতীয় অধিকার পূরণে সচেষ্ট থাকবে নব নির্বাচিত সরকার।

বিগত বছরের মতোই ক্রীড়াঙ্গনে আসুক সফলতা। ক্রিকেটের পাশাপাশি অন্যান্য খেলাধুলাও পৌঁছে যাক আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। ক্রিকেটের সফলতা অটুট থাকুক। ফুটবল জেগে উঠুক নিজস্ব শক্তিতে। হিসেবের খাতায় যুক্ত হোক নতুন নতুন পদক।

বিনোদন জগতের অস্থিরতা কেটে যাক অস্তমান সূর্যের সঙ্গে সঙ্গে। তারকা জীবন আলোকিত হোক নতুন সূর্যের আলোয়। বিশ্ব বাজারে জায়গা করে নিক বাংলাদেশের বিনোদন। বিনোদনের সবগুলো মাধ্যম শিক্ষণীয় হয়ে উঠুক প্রত্যেকের জন্য। নতুন ধারায় জাগিয়ে তুলুক সবার শুভবোধ।

> আরও পড়ুন- মনের অন্ধকার দূর করে বই 

Advertisement

তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটিয়ে কার্যকরী যুবসমাজ উপহার দিয়ে নতুন বছরকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে ফুটিয়ে তুলতে এগিয়ে আসবে সবাই। বেকারত্ব দূর করতে যাবতীয় বৈষম্যের কাঁটাতার উপড়ে ফেলে যুবসমাজের যৌক্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তাহলেই যুবসমাজ দেশকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে।

আগামী দিনগুলো শান্ত-সৌম্য-সুস্থির বাংলাদেশ চাই আমরা। মানুষ হবে মানুষের জন্য। দেশের সব ক্ষেত্রে সফলতা আসুক। প্রবাস জীবন বয়ে আনুক সমৃদ্ধি। প্রবাসযোদ্ধারা বয়ে আনুক দেশের সুনাম। বৈদেশিক কর্মসংস্থান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে আশা করি।

সর্বোপরি পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসুক উন্নয়নের স্রোতধারায়। ভালো থাকুক প্রিয় দেশ, দেশের মাটি ও আপামর জনগণ। হাসি-আনন্দে কাটুক সবার জীবন। বাংলাদেশ উত্তরোত্তর সফলতার দিকে এগিয়ে যাক। বিদায় ২০১৮, শুভাগমন হোক ২০১৯ সালের।

এসইউ/এমকেএইচ