এবারের বিপিএলে সবচেয়ে কম সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে। সেটা যে শুধুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত জাতীয় ইস্যুর গুরুত্ব, তাৎপর্য্য এবং ডামাডোলের কারণে- তাও নয়।
Advertisement
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) কারণে দলগুলো অন্তত স্থানীয় ক্রিকেটারদের দিয়ে অনুশীলন শুরু করতে পারেনি। কারণ বিসিএলের শেষ রাউন্ড বা শিরোপা নির্ধারণ হয়েছে ২৭ ডিসেম্বর। তার পরপরই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ। দু'য়ে মিলে সাত দলের কোন দলের স্থানীয় ক্রিকেটাররাও এখন পর্যন্ত অনুশীলন শুরু করতে পারেননি।
এছাড়া আরো একটি কারণও রয়েছে। সাত দলের বেশীর ভাগ কোচও বিদেশী। খালেদ মাহমুদ সুজন (ঢাকা ডায়নামাইটস), মোহাম্মদ সালাউদ্দীন (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স) আর নুরুল আবেদিন নোবেলই (চিটাগাং ভাইকিংস) শুধু বাংলাদেশী কোচ।
বাকি চার দল মানে চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স (অস্ট্রেলিয়ান টম মুডি), খুলনা টাইটান্স (শ্রীলঙ্কান মাহেলা জয়াবর্ধনে), সিলেট সিক্সার্স (পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনুস ) এবং রাজশাহী কিংস (দক্ষিণ আফ্রিকান ল্যান্স ক্লুজনার)- চার দলেরই বিদেশী কোচ।
Advertisement
কাজেই ঢাকা ডায়নামাইটস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর চিটাগাং ভাইকিংস হয়ত স্থানীয় কোচদের অধীনে প্রস্তুতি শুরু করতে পারত। কিন্তু বাকি চার দলকে বিদেশী কোচের আসা অবধী অপেক্ষায় থাকা ছাড়া আসলে উপায়ও ছিল না।
এদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হবার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে সাত দলের বিদেশী ক্রিকেটারদের বড় অংশ রাজধানী ঢাকায় আসতে শুরু করবেন।
যেহেতু আজ মধ্য রাত পর্যন্ত সাধারণ যানবাহন চলায় নিষেধাজ্ঞা আছে তাই আগামীকালের আগে কোন দলের বিদেশী কোচিং স্টাফ ও ক্রিকেটারের আসার সম্ভাবনাও খুব কম।
তারপরও ধারণা করা হচ্ছে ১ জানুয়ারীর মধ্যে সব দলের বিদেশী ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা এসে পড়বেন। তার মানে স্থানীয় আর বিদেশী মিলে দলগুলো গড়পড়তা তিন-চার দিন এক সাথে অনুশীলনের সুযোগ পাবে দলগুলো।
Advertisement
এআরবি/এসএএস/জেআইএম