সরকারি অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি এজেন্টদের প্রতারণার কারণে হজ ক্যাম্পেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন হজযাত্রীরা। নির্ধারিত দিনে বিমানের টিকেট দেয়ার কথা বলে হজযাত্রীদের এলাকা থেকে ঢাকায় আনা হলেও কথা রাখা হচ্ছে না। ফলে নতুন করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। শনিবার বিকেলে হজ ক্যাম্পে গেলে জাগো নিউজের এ প্রতিবেদককে এমনটিই জানান অনেক হজযাত্রী। সরেজমিনে দেখা যায়, টিকিট না কেটেই অনেক এজেন্সিই হজযাত্রীদের ক্যাম্পে নিয়ে এসেছেন। এক রুমে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে তাদের। এজেন্সি মালিকদের ভুল বার্তায় এক সপ্তাহ বা দশ দিনের ফাঁদে পড়ে এখন তারা পাচ্ছেন না বিমানের টিকেট। আবার ফিরতেও পারছেন না বাড়িতে। হজ ক্যাম্পে কথা হয় ভুক্তভোগী অনেকের সঙ্গে। এদের একজন বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা দিনাজপুরের বাসিন্দা মকসুদার রহমান (৫৫)। বৃদ্ধ মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে ১৯ আগস্ট রাত থেকে হজ ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। হজ এজেন্টের নাম ‘ছিদরাত ট্যুার অ্যান্ড ট্রাভেলস (১৪০৪)। এজেন্টের প্রতিনিধি রবিউল ২০ আগস্ট নিশ্চিত ফ্লাইটের কথা বলে তাদের দিনাজপুর থেকে আশকোনার হজ ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। পরে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না, আগামী ২৬/২৭ তারিখের আগে ফ্লাইট দেয়া যাবে না বলে জানান রবিউল।হজযাত্রী মকছুদার রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, তার বৃদ্ধ মা মর্জিনা বেগম (৭০) এখানকার অব্যবস্থাপনার কারণে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কেবল মকছুদার রহমানই নন। একই দুর্দশা ও অভিজ্ঞতার কথা জানালেন সৈয়দপুরের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্মকর্তা মো. খায়রুল বাসার এবং হজযাত্রী আব্দুর রাজ্জাক। হজ এজেন্সিগুলোর অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এবং যাদের কারণে এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতাদের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।এদিকে কি কারণে হজযাত্রীদের এমন ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে এ উত্তরে ‘ছিদরাত ট্যুার অ্যান্ড ট্রাভেলস’র মালিক মোফাজ্জল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ২১ আগস্ট টিকিট বুক ছিল। আমার ব্যাবসায়িক অংশীদার ‘বারাকাত ট্রাভেলস’ ২০ আগস্ট টিকিট দিতে পারেনি। ইচ্ছে করে হজযাত্রীদের কষ্ট দেয়া হচ্ছে না। আরএম/এএইচ/একে/আরআইপি
Advertisement