জাতীয়

ইভিএম কেন্দ্রে ভাঙচুরের অভিযোগ

রাজধানীর বেগম কামরুননেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের তিনটি কেন্দ্রের একটিতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে দেরি হওয়ায় এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন উপস্থিত ভোটাররা।

Advertisement

ঢাকা-৬ আসনের এ কেন্দ্রে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ। ধানের শীষ নিয়ে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী।

সেখানে উপস্থিত জাগো নিউজের প্রতিনিধি জানান, বেগম কামরুননেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে মোট তিনটি কেন্দ্র। নিচতলা, দোতলা ও তৃতীয় তলায় তিনটি কেন্দ্রের অবস্থান।

আতঙ্কে কেন্দ্র ছাড়ছেন ভোটাররা

Advertisement

বেলা ১০টার পর ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন ডিএমটি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

তারা বেরিয়ে যাওয়ার ১৫ মিনিট পর দ্বিতীয় তলা থেকে চিৎকার-চেচামেচি, জানালার গ্লাস ও চেয়ার ভাঙচুরের শব্দ আসে। একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক এ সময় সেখানে ভাঙচুর চালায়।

১৫ থেকে ২০ যুবক ভাঙচুর চলানোর পর পুলিশের সামনে দিয়ে হেঁটে বাইরে চলে যায়।

আতঙ্কে কেন্দ্র ছাড়ছেন ভোটাররা

Advertisement

পরে দোতলায় গিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে রুমে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ওয়ারি জোনের ডিসি মো. ফরিদ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নলেজে নাই।’

ওয়ারি জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নূরুল আমিন বলেন, ‘সেখানে কিছু বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। কারণ ইভেএমে ভোট দিতে বিলম্ব হচ্ছিল। এ কারণে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। তবে এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।’

হামলা কারা চালিয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে পরিস্থিতি এখন ভালো।’

নির্বাচনী কেন্দ্রে ভাঙচুর চালাচ্ছে উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা

ভাঙচুরের ওই ঘটনার পর অধিকাংশ ভোটার ওই কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান।

এদিকে, বেগম কামরুননেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের কেন্দ্র ব্রাদার্স ইউনিয়নের মাঠ। সেখানে ঢাকা-৮ আসনের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। গেট থেকে জাগো নিউজের প্রতিনিধিদের ফিরিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এআর/এমএআর/এমএস