জনগণ আ.লীগ আর বিএনপির দুঃশাসন দেখতে চায় না

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, জনগণ আওয়ামী লীগ আর বিএনপির দুঃশাসন দেখতে চায় না। তাই আগামীতে জাতীয় পার্টি জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসবে। শনিবার বিকেলে রংপুরের সদর উপজেলার শ্যামপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে স্থানীয় জাপা আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির নেতাকর্মীরা চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, বিএনপি ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা নিজেরাই ধ্বংস হবার পথে। আগামী নির্বাচনেও যদি তারা অংশ না নেয় তাহলে অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিএনপির অনেকেই জাপায় যোগ দেবার জন্য ইতোমধ্যে লাইন ধরা শুরু করেছে। ফলে আগামী নির্বাচনে আর কোন জোট বা দলের সঙ্গে নয়, এবার এককভাবে জাতীয় পার্টি  নির্বাচনে অংশ নেবে। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোঠায় দাবি করে এরশাদ আরো বলেন, দেশের মানুষ এখন চরম অশান্তিতে। শিশু নির্যাতন মানুষ খুন এখন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকাশ্যে শিশু রাজনসহ অনেক শিশুকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হলো। আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে গেছে। আর এ কারণে আইনের শাসন নেই বললেই চলে। জাতীয় পার্টিকে দেশের এ ক্রান্তি লগ্নে দেশ পরিচালনার সুযোগ দিলে মানুষের মাঝে শান্তি ফিরে আসবে। এরশাদ বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগ কোন দিন রংপুরের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেনি। এখানে কোন শিল্প কলকারখানা নেই। এখানে গ্যাস না থাকায় কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না। রংপুরের মানুষ সিলেট আর ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালায় এটা ভীষণ লজ্জার বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে প্রথম কাজটি হবে রংপুরে পাইপ লাইন স্থাপন করে গ্যাস সরবরাহ করা। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির মধ্যে কিছুটা হলেও ফাটল ধরেছে। এটা সাময়িক। গত নির্বাচনে রংপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টি মাত্র দুইটি আসন পেয়েছে। তবে আগামী নির্বাচনের আগে দল আবার ঘুরে দাঁড়াবে। হারিয়ে যাওয়া সব আসন পুনরুদ্ধার করা হবে। এ সময় তিনি আগামী ঈদের পর দলকে পুর্ণগঠন করার কাজ শুরু করার ঘোষণাও দেন। স্থানীয় চন্দনপাট ইউনিয়ন জাপার আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা জাপার সদস্য সচিব হোসেন মকবুল শাহারিয়ার, মহানগর জাপার সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব এসএম ইয়াসির, সদর উপজেলা জাপা সভাপতি আবেদ আলী ক্যাশিয়ার প্রমুখ।জিতু কবীর/এআরএ/এমআরআই