ফলটা অনুমিতই ছিল। জয়ের লক্ষ্য ৬৬০ রানের কিংবা টেস্ট বাঁচাতে ব্যাট করতে হতো ১৯০ ওভারের মতো। শ্রীলঙ্কার জন্য দুটি কাজই প্রায় অসম্ভব ছিল। তবে কঠিন বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে লঙ্কানরা যে লড়াইটা করেছে, সেটা অবশ্য প্রশংসা পাবার যোগ্য।
Advertisement
চতুর্থ দিনে দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়ে ম্যাচটা পঞ্চম দিন পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। আগের টেস্টের মতো বৃষ্টির আশীর্বাদ পেলে ড্র হওয়াও হয়তো সম্ভব ছিল। কিন্তু তেমন কিছু হলো না। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে একটু লড়াইও করতে পারল না সফরকারি দল। পঞ্চম দিনে তাদের ইনিংস টিকেছে মাত্র ১৪ বল।
দিনেশ চান্দিমাল (২২৮ বলে ৫৬) আর কুশল মেন্ডিসের (১৪৭ বলে ৬৭) লড়াকু দুই ইনিংসে ভর করে চতুর্থ দিনে দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়েছিল শ্রীলঙ্কা। ৬ উইকেটে ২৩১ রান নিয়ে দিন শেষ করে তারা।
পঞ্চম দিনে এসে আর মাত্র ৫ রান যোগ করে ২৩৬ রানে অলআউট হয়েছে চান্দিমালের দল। ২২ রান নিয়ে খেলতে নামা দিলরুয়ান পেরেরা আর কোনো রান যোগ না করে দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরেছেন নেইল ওয়েগনারের শিকার হয়ে।
Advertisement
১৬ রানে ব্যাটিংয়ে নামা সুরাঙ্গা লাকমল ১৮ করে বোল্ড হন ট্রেন্ট বোল্টের বলে। ৩ রানে একই বোলারের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন দুশমান্থ চামিরা। ২২ রান নিয়ে আগের দিন হ্যামস্ট্রিংয়ের কারণে মাঠের বাইরে চলে যাওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ আর নামতে পারেননি।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৪৮ রান নিয়ে ৪টি উইকেট নেন নেইল ওয়েগনার। বোল্ট ৩টি আর সাউদি নেন ২টি উইকেট।
প্রসঙ্গত, প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ১৭৮ রানে গুটিয়ে দিয়েও ম্যাচের লাগাম হাতে নিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে তারা অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ১০৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৫৮৫ রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করে কিউইরা।
এমএমআর/এমকেএইচ
Advertisement