রোববারের পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে বিরোধীদলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। বিরোধীদলীয় জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন।
Advertisement
এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলীয় জোটের প্রায় ২ হাজার প্রার্থী সংসদের ২৯৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩৫০ সদস্যের জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য ৫০ আসন সংরক্ষিত।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা নির্বাচনী বিভিন্ন ইস্যু ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা কামাল হোসেনের সঙ্গে।
আরও পড়ুন : বিশ্বের চোখ বাংলাদেশে
Advertisement
আলজাজিরা : আপনি সাবেক মিত্র আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কেন গেলেন?
কামাল হোসেন : আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণ পরিবর্তনের জন্য মানুষের সর্বসম্মত আহ্বান। জনগণ বলছে, তারা পরিবর্তন চান। এখন প্রত্যেকেই যা বলছে, আমি অবশ্যই সেটি বলবো : পরিবর্তনের সময় এসেছে। আমি শেখ হাসিনার সরকার এবং তার দেশে ফেরার (নির্বাসন থেকে) সহায়ক হয়েছি। তার বাবা মারা যাওয়ার দিন আমি তার সঙ্গে ছিলাম।
‘আমি এমন কেউ নই; যিনি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়, কিন্তু আমি বলবো, ১০ বছর যথেষ্ট হয়েছে। আপনি যথাযথ নির্বাচনের মাধ্যমে পাঁচ বছর অতিবাহিত করেছেন এবং যথার্থ নির্বাচন ছাড়াই পরবর্তী পাঁচ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন (২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করেছিল বিরোধী দল)।’
আরও পড়ুন : ভারতের গভীর পর্যবেক্ষণে জামায়াত প্রার্থীরা
Advertisement
আলজাজিরা : রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর আপনার বিশ্বাস আছে কী? আপনি নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। প্রতিষ্ঠানে আমাদের বিশ্বাস আছে। কিন্তু সেখানে কিছু ব্যক্তি আছেন; যারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস এবং সাময়িক লাভের জন্য সরকারের পক্ষে কাজ করছেন।
‘বিচারপতি এবং নির্বাচন কমিশনার; যারা সাংবিধানিক অফিসে যান, তাদের ব্যক্তিগত প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। আমরা তাদের এটা মনে রাখার অনুরোধ জানিয়েছি যে, তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক দায়-দায়িত্ব রয়েছে; যেটাতে নিরপেক্ষ এবং ন্যায্য থাকা জরুরি।’ (সংক্ষেপিত) এসআইএস/পিআর