একইদিনে শুরু হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তানের সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট, শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট এবং ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন টেস্ট। শেষের দুই ম্যাচ পঞ্চম দিনে গড়ালেও, আড়াইদিনে শেষ হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তানের সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট।
Advertisement
পাঁচদিনের ম্যাচ আড়াইদিনে শেষ হওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছেন বোলাররা, বিশেষ করে পেসাররা। ম্যাচের ৪ ইনিংসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ মাত্র ২২৩। এক ইনিংসেও ২০০ পেরুতে পারেনি পাকিস্তান। দুই দলের পেসাররাই ছিলের আগুনে ফর্মে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বল হাতে একাই ১১ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি পেসার ডুয়াইন অলিভার। পাকিস্তানের বাকি ৯ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ডেল স্টেইন ও কাগিসো রাবাদা। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার ১৪ উইকেটের মধ্যেও একমাত্র স্পিনার ইয়াসির শাহ দখল করতে পেরেছেন মাত্র ১টি উইকেট।
এ পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায় সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে পেসারদের দাপট ও ব্যাটসম্যানদের কাজ কঠিন ছিলো ঠিক কতোটা। বোলারদের এ দাপটের ম্যাচটি জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকাই। মাত্র ১৪৯ রানের লক্ষ্য দিয়েও লড়াইয়ের আভাস জাগিয়েছিল পাকিস্তান।
Advertisement
রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়ে দিয়েছিল প্রোটিয়া ওপেনার এইডেন মারক্রামকে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ১১৯ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন ডিন এলগার ও হাশিম আমলা। ১৯১ মিনিটের ধৈর্য্যশীলন ইনিংসে ১২৩ বল খেলে ৫০ রান করেছেন এলগার, ২২৪ মিনিটের ইনিংসে ১৪৮ বলে ৬৩ রান এসেছে আমলার ব্যাট থেকে।
উইকেটে ব্যাটিং করা ঠিক কতোটা কঠিন ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাচ শেষে ডিন এলগার জানিয়েছেন ব্যাটিং করার জন্য সবচেয়ে কঠিন জায়গাটাই হলো দক্ষিণ আফ্রিকা। এসময় রসিকতা করে তার বেতন তিনগুণ করে দেয়ারও আবদার করে বসেন এলগার।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি মারক্রাম ও আমার বেতন তিনগুণ করে দেয়া উচিৎ (হাসি)। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাটিং ওপেনার করাটা সহজ কাজ নয়। নিঃসন্দেহে ব্যাটিং করার সবচেয়ে কঠিন জায়গা দক্ষিণ আফ্রিকা। আমি এ কথার পক্ষে বাজি ধরতেও রাজি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এ জিনিসটাই আসলে আপনার সন্তুষ্টি আরো বাড়িয়ে দেয়। কারণ আপনি যখন কঠিন সময় পার করে রান করতে শুরু করবেন তখন সব দারুণ মনে হবে। আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি আপনি যখন নানান প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পার হয়ে সফল হবেন তখন তৃপ্তিও বেড়ে যাবে।’
Advertisement
সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে ব্যাটিং করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার বল আঘাত হেনেছে এলগারের হাত ও গায়ে। আউট হয়ে যাওয়ার পরে দেখা গিয়েছে হাতে আইসব্যাগ নিয়ে বসে আছেন বাঁহাতি এ ওপেনার। তবে ম্যাচ জিতে যাওয়ায় এ ব্যথা নিশ্চয়ই মনে থাকার কথা নয় এলগারের।
তবু আবারও রসিকতা করে এলগার বলেন, ‘আমি পরের ম্যাচে নিশ্চিতভাবেই হাতের গার্ড ব্যবহার করবো। তবে আমাদের দেখতে হবে পরের ম্যাচের উইকেট কেমন আচরণ করে। আমার ক্যারিয়ারজুড়ে অনেকবারই গায়ে বল লেগেছে, এটা মোটেও সুখকর নয়। তবে যখন সতীর্থরা আমার পাশে থাকে, বাহবা দেয় তখন ব্যথাটা সেভাবে অনুভূত হয় না।’
এসএএস/পিআর