জাতীয়

পয়েন্টে পয়েন্টে তল্লাশি, মোটরসাইকেল জব্দ

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সেগুলো জব্দ করা হচ্ছে। জব্দকৃত মোটরসাইকেলগুলো স্থানীয় থানায় পাঠানো হচ্ছে। নির্বাচনের পরপর সেগুলো ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর পল্টন, কাকরাইল, বাড্ডা-রামপুরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় ট্রাফিক ও থানা পুলিশের সদস্যদের বিচ্ছিন্নভাবে মোটরসাইকেল জব্দ করতে দেখা গেছে।

সকালে কাকরাইলের রাজমণি সিনেমা হলের বিপরীতে ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করে রমনা থানায় নিয়ে যেতে দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের নিচে থেকে ৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করে ওয়ারী থানায় নিয়ে যাওয়ার হয়। মধ্যবাড্ডা এলাকায় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল জব্দ করার সংবাদ পাওয়া গেছে।

এর আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত (রাত ১২টা) থেকে ১ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত (রাত ১২টা) পর্যন্ত সারাদেশে মোটরসাইকেল চালানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

Advertisement

যাত্রাবাড়ী এলাকায় রুহুল আমিন নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা নির্দেশনার বিষয়ে জানতাম না। তাই মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছি। এ ব্যাপারে প্রচার কম হয়েছে।’ জব্দ হওয়া সব মোটরসাইকেলের মালিক একই দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল জোনের সার্জেন্ট মেহেদী হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করে যারা মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন তাদের আটক করা হচ্ছে। তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। ভোটের পর তাদের মোটরসাইকেল ফিরিয়ে দেয়া হবে।’

ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ জারি করা প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত রাজধানীতে বেবি ট্যাক্সি/অটোরিকশা/ইজিবাইক, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, প্রাইভেটকার, বাস, ট্রাক, টেম্পো এবং স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।

এআর/বিএ/জেআইএম

Advertisement