রাজনীতি

নিজেকে বাঙালি মনে করলে যুদ্ধাপরাধীদের ভোট না দেয়ার আহ্বান

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমাদের একটাই দাবি, আপনারা যদি নিজেকে বাঙালি মনে করেন তাহলে যারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে রাজনীতি করে তাদের ভোট দেবেন না।

Advertisement

শুক্রবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উপস্থাপকের করা এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট যুদ্ধাপরাধীদের কীভাবে নমিনেশন দেয়? যারা আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করেছে। আমাদের দেশের মানুষকে একাত্তরে তারা হত্যা করেছে, ৩০ লক্ষ মানুষ তারা হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, অবশ্য বিএনপির জন্য এটা আশ্চর্যের বিষয় নয়, কারণ জিয়াউর রহমানই তো যুদ্ধাপরাধীদেরকে, জামায়াতকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনেছে। খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদেরকে মন্ত্রী বানিয়েছে, রাষ্ট্রের পতাকা দিয়েছে। আসলে আমাদের আশ্চয্য হওয়া উচিত না। বাট আমি বলবো এটা আমাদের একটা লজ্জার বিষয়।

Advertisement

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ইশতেহারের মধ্যে তফাতটা কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, কথা তো সবাই বলতে পারে, ওয়াদা তো সবাই দিতে পারে। ওয়াদা কে রেখেছে? একমাত্র আওয়ামী লীগ। আমরা যতগুলো কথা দিয়েছি, আমরা সেটা সম্পূর্ণ করেছি।

তিনি বলেন, বিএনপি কী করেছে? তারা দু’বার ক্ষমতায় ছিল। তারা বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করেছে, তাদের ৫ বছর। একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা, সারাদেশে ৫০০ বোমা হামলা, হত্যাকাণ্ড। হিন্দুদের ওপর হামলা, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে মানুষের ওপর আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো সন্ত্রাস- এটাই তো করেছে তারা। আর কী করেছে?

জয় বলেন, এখনও যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, ঠিক আছে তারা ইশতেহার বানিয়েছে। তবে তাদের একজনও বলতে পারবে তাদের ইকনোমিক পলিসি কী? শিক্ষার, স্বাস্থ্যর পলিসি কী? তারা কীভাবে করবে? এটা তো তারা বলতে পারে না, তারা জানেও না। এখন একটা ইশতেহার লিখে দিলে হবে না, আওয়ামী লীগ যেটা করেছে আমরা কাজ দিয়ে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি।

ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে মালেশিয়া, সিঙ্গাপুরের মতো দেখতে চাই। একটি আধুনিক দেশ, যেখানে কোনো মানুষের কোনো অভাব নেই, সবাই আরামে বসবাস করছে। সবাই ভালো আয় করছে, শান্তিতে বাস করছে। একটি সন্ত্রাস মুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত সোনার বাংলাদেশ।

Advertisement

এইউএ/এমবিআর/এমকেএইচ