দেশজুড়ে

নারায়ণগঞ্জ-৩ : নির্বাচন থেকে সরে গেলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে সিংহ প্রতীকে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার প্রার্থিতা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া পুরাতন বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

Advertisement

এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আব্দুল্লাহ আল কায়সার বাড়ি ঘিরে রেখেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় ১০-১২ রাউন্ড গুলির শব্দে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কেউ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ওই সময় ১৫ জনকে নেতাকর্মীকে আটক করা হয় বলে কায়সার হাসনাত অভিযোগ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে সিংহ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার নির্বাচন থেকে সরে দাড়াচ্ছেন এমন গুঞ্জন বিরাজ করছিল সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকায়। এ ধরনের গুঞ্জন শুনে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে অনুগামী নেতাকর্মীরা কায়সারের মোগড়াপাড়ার বাড়িতে জমায়েত হতে থাকেন। ওই সময়ে সাংবাদিকরাও তার বাড়িতে অবস্থান করেন। পরে বিকেলে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি জানান, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন না তিনি। একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

সন্ধ্যায় কায়সার তার ওই বাড়িতে অনুগামী নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনের কৌশল বিষয়ে মত বিনিময় করছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কায়সারের বাড়ি ঘেরাও শুরু করলে অনুগামী নেতাকর্মীরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ অন্তত ১০-১২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তবে গুলিবর্ষণের ঘটনায় কেউ হতাহত কিংবা গুলিবিদ্ধ হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। পরে রাত সাড়ে ৮টায় সংবাদ সম্মেলনে কায়সার জানান, তিনি ভোটে থাকছেন না। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন। আবদুল্লাহ আল কায়সার বলেন, সন্ধ্যায় আমাদের নির্বাচনী কৌশল সভা শেষে আমি ওই বাড়ি থেকে চলে আসি। আমি চলে আসার পর পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা আমার বাড়ির গেট ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে কয়েকজন নেতাকর্মীকে বিনা কারণে গ্রেফতার করে। সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সারের বাড়িতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে বৈঠক চলছে এমন অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেখানে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

Advertisement

মো. শাহাদাত হোসেন/এসআর