বিখ্যাত আরবি দৈনিক রাই আল ইয়াওমের সম্পাদক আবদুল বারি আতওয়ান বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি সরকারকে স্বয়ংক্রিয় অর্থযন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন এবং তার হাতে যতক্ষণ পাস-ওয়ার্ড রয়েছে ততক্ষণ এই সরকার বিনা প্রতিবাদে ওই যন্ত্রের মতই ট্রাম্পের নির্দেশগুলো মেনে চলতে বাধ্য।
Advertisement
সম্প্রতি সিরিয়ার পুনর্গঠনের অর্থ সৌদি আরব থেকে নেয়া হবে বলে ট্রাম্প এক টুইট-বার্তায় যে মন্তব্য করেন সেদিকে ইঙ্গিত করেই আল-ইয়াওম সম্পাদক এই তুলনা করলেন। সৌদি সরকার কেন মার্কিন সরকারের অনুগত ভৃত্যের মত আচরণ করে তা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমগুলোর নিয়মিত বিশ্লেষণের বিষয়ে পরিণত হলেও সৌদি কর্তৃপক্ষ এতে কখনও লজ্জা বা অপমান অনুভব করছে না।
আরও পড়ুন : ইরাকে হঠাৎ হাজির ট্রাম্প সিরিয়ার পুনর্গঠনের খরচ সংক্রান্ত ওই টুইট-বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, মার্কিন সরকারের পরিবর্তে সৌদি সরকারই সিরিয়ার পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বা ব্যয়ভার বহন করবে। আপনাদের দৃষ্টিতে এটাই কি উত্তম নয় যে ধনী সৌদি সরকার একটি পরাশক্তি তথা মার্কিন সরকারের পরিবর্তে প্রতিবেশী দেশগুলোর পুনর্গঠনে সাহায্য করবে। সিরিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব পাঁচ হাজার মাইল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত দুই বছরে অস্ত্র-বিক্রিসহ নানা অজুহাতে সৌদি সরকার থেকে ৫০ হাজার কোটি ডলার আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। ট্রাম্প সৌদি সরকারকে দুধ-দাতা গাভী বলে উল্লেখ করেছিলেন এবং মার্কিন সহায়তা ছাড়া সৌদি সরকার কয়েক দিন বা কয়েক ঘণ্টার বেশি টিকে থাকতে পারবে না বলে একাধিকবার মন্তব্য করেছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন : ‘ব্রিটেনে শিশু যৌন নিপীড়নকারীদের অধিকাংশই পাকিস্তানি’
মার্কিন সরকার ২০১১ সালে মিত্রদের সহায়তায় সিরিয়ায় সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যে দেশটির আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের হাজার হাজার সদস্যকে সিরিয়ায় পাঠিয়েছিল এবং তাদেরকে প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা তথ্য, অর্থ ও অস্ত্রসহ সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে।
কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি উত্তর-সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ অঞ্চলে ২ হাজার ১৫০ জন মার্কিন সেনা রয়েছে। এদিকে কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার দেশের সরকার মার্কিন সরকার ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা ছাড়া সিরিয়ায় একটি ডলারও খরচ করেনি!
পার্সট্যুডে।
Advertisement
এসআইএস/এমকেএইচ