আন্তর্জাতিক

ইরাকে হঠাৎ হাজির ট্রাম্প

কোথাও কোনো খবর ছিল না। কেউ টেরও পাননি। আচমকাই ইরাকের আল-আসাদ মার্কিন সেনাঘাঁটিতে নামল গাঢ় কালো রঙের ‘এয়ার ফোর্স ওয়ানের’ একটি বিমান। সেই বিমান থেকে সস্ত্রীক নামলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Advertisement

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কখনও ইরাকের মার্কিন সেনাঘাঁটিতে যাননি ট্রাম্প। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ, বারাক ওবামা-সহ আগের প্রেসিডেন্টরা মাঝেমধ্যেই বিদেশের মাটিতে কর্মরত মার্কিন বাহিনীকে চাঙ্গা করতে হাজির হতেন সেই দেশে। এক মাত্র ট্রাম্পই গত দু’বছরে এক বারের জন্যেও ইরাকে পা ফেলেননি।

সম্প্রতি সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ সরিয়ে নেয়া কিংবা আফগানিস্তানের মাটি থেকে সেনা কমানোর ঘোষণার পরে যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তাতে গুঞ্জন ওঠে ট্রাম্প হয়তো এবার আগের প্রেসিডেন্টদের পথে হাঁটবেন। আসলে ঘটেছেও তাই। সেই সঙ্গে ইরাক সফরেই বুঝিয়ে দিলেন, তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। জানালেন, সিরিয়া থেকে সেনা সরানো হবে। পশ্চিম এশিয়ার ‘পুলিশ’ নয় আমেরিকা।

ট্রাম্পের ইরাক সফর ছিল চমকে ঠাসা। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে আল-আসাদ সেনাঘাঁটিতে নামেন ট্রাম্প। ছিলেন মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তার মধ্যেই জানান, খুব ‘ক্লান্তিকর’ সফর। তিনি বলেন, ‘অনেক ধরনের সফরের অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু এই সফর...। পুরো বিমান ঘুটঘুটে অন্ধকার। সব জানালা বন্ধ।’

Advertisement

সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি স্পেশ্যাল ফোর্সের ১০০ জনের একটি দলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ইরাকের প্রেসিডেন্ট আদেল আব্দেল মেহদি-র সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি বাতিল করে দেন ট্রাম্প। শুধু ফোনে কথা বলেই দায়িত্ব সারেন।

এর পরই স্বমেজাজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, এই মুহূর্তে আমেরিকার নীতি হল বিভিন্ন দেশের সেনা-জোট থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়া। মার্কিন নাগরিকদের কাছে এ হল ‘পশ্চিম এশিয়ার অন্তহীন যুদ্ধ’। তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘাড়ের সব বোঝা ফেলে দেয়া হবে, এটা ঠিক নয়।’ এসআইএস/পিআর